১০ ওভারেই সিলেটকে হারিয়ে দিল বরিশাল
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:২৭ | আপডেট: ৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:০২
দুর্দান্ত বোলিংয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ১২৫ রানেই আটকে রেখেছিল ফরচুন বরিশাল। এবারের বিপিএলের পিচ ব্যাটারদের যেমন সহায়তা দিচ্ছে তাতে বরিশালের জন্য এই রান পেরুনো কঠিন হবে না বুঝাই যাচ্ছিল। কিন্তু এরপর কাইল মায়ার্স ও তাওহিদ হৃদয় যে সিলেটের বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলায় মেতে উঠবেন সেটা কে জানত! এই দুজনের ব্যাটে মাত্র ১০.৩ ওভারেই সিলেটকে হারিয়েছে বরিশাল।
কাইল মায়ার্স ও তাওহিদ হৃদয় দুজনই বিপিএলের শুরুতে রান পাননি। সিলেটের বিপক্ষে ম্যাচটাকে আজ রানের ফেরার উপলক্ষ্যও বানালেন দুজন। ৫৯ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন মায়ার্স। আর হৃদয় আউট হয়েছেন ৪৮ রান করে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেটের ১২৫ রানের জবাব দিতে নেমে প্রথম বলেই অবশ্য তামিম ইকবালকে হারায় বরিশাল। রাকিম কর্নওয়েলের স্পিনে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন তামিম। এক ম্যাচ পর একাদশে সুযোগ পাওয়া নাজমুল হোসেন শান্তও রান পাননি (৪)।
তবে শুরুর ধাক্কা পরে বুঝতেই দেননি কাইল মায়ার্স ও তাওহিদ হৃদয়। বিপিএলের শুরু থেকে রান না পাওয়া মায়ার্স আজও সেট হতে সময় নিয়েছেন। তবে সেট হয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন ব্যাট হাতে। ক্যারিবিয়ান তারকার একটা ছক্কা তো স্টেডিয়ামের ছাদেই গিয়ে পড়ল!
তাওহিদ হৃদয় আক্রমণাত্মক ছিলেন শুরু থেকেই। হৃদয়ও বিপিএলের শুরুর কয়েকটা ম্যাচে রান পাননি। ২৭ বলে ৮টি চার ২টি ছয়ে ৪৮ রান করা হৃদয় যখন ফিরলেন বরিশালের জয়ের জন্য তখন মাত্র ৪ রান দরকার। মায়ার্স শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৩১ বলে ৫৯ রান করে। এই রান করতে ৫টি চারের সঙ্গে ৪টি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছেন মায়ার্স।
এর আগে বল হাতে ঝলক দেখিয়েছেন বরিশালের বোলাররা। প্রথম ওভারেই রনি তালুকদারকে হারায় সিলেট। তবে রাকিম কর্নওয়েল, জর্জ মানজেরা ক্রিজে নেমেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। যাতে প্রত্যাশিত রান উঠছিল। রাকিম কর্নওয়েল ১২ বলে ৪টি চারে ১৮ রান করে ফিরলে জাকির হাসান নেমেও পাল্লা দিয়ে রান তুলছিলেন। কিন্তু ইনিংসের নবম ওভারে পাকিস্তানি পেসার জাহানদাদ আক্রমণে আসতেই যেন পাল্টে গেল ম্যাচের গতিপত!
একই ওভারে জর্জ মানজে ও অ্যারোন জোন্সকে ফেরান জাহানদাদ। মানজে ফেরার আগে ১৩ বলে ১ চার ৩ ছয়ে ২৮ রান করেন। আর জোন্স ফিরেছেন শূন্য রানে। পরের ওভারে ২৬ বলে ২৫ রান করা জাকির হাসানকে ফেরান রিশাদ হোসেন। খানিক বাদে জাহানদাদ ফর্মে থাকা জাকের আলি অনিককে (১) ফেরালে সিলেটের শক্ত স্কোর গড়ার সম্ভবনা সেখানেই অনেকটা কমে গেছে।
শেষ দিকে অধিনায়ক আরিফুল হক খানিকক্ষণ ধরে খেললেন বলে একশর ওপারে যেতে পেরেছে সিলেট। আরিফুল ১৯তম ওভারে ফেরার আগে ২৯ বলে ১ চার ৩ ছয়ে ৩৬ রান করেছেন। ১৮.২ ওভারে ১২৫ রানে গুটিয়ে গেছে সিলেট।
বরিশালের হয়ে জাহানদাদ ৩ ওভারে ১৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন। রিশাদ হোসেন ৪ ওভারে ১৫ রান খরচায় নিয়েছেন ৩ উইকেট। বরিশালের অপর পাকিস্তানি পেসার ফাহিম আশরাফ ২৩ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।
সারাবাংলা/এসএইচএস