নাঈমের এভাবে বদলে যাওয়াতে অবদান মুশফিকেরও
৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৩২ | আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৪:০০
২০১৯ সালের নভেম্বরে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক নাঈম শেখের। তারপর জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন নিয়মিত। ৩৫টি টি-টোয়েন্টির সঙ্গে ৮টি ওয়ানডে ও ১টি টেস্টও খেলেছেন তরুণ ওপেনার। কিন্তু দলে থিতু হতে পারেননি। ২০২৩ সালের সেপ্টম্বর থেকে দলের বাইরে নাঈম।
তার বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ ছিল ডট বল। নাঈমের হাতে যথেষ্ট হিট। কিন্তু পর পর ডট বল খেলে স্ট্রাইকরেটটা এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতেন যেটা টি-টোয়েন্টির জন্য বড্ড দৃষ্টিকটু। তবে সেই নাঈম এখন অনেকটাই বদলে গেছেন। তার শট খেলার পরিধি বেড়েছে। সঙ্গে সিঙ্গেলস ডাবলসেও দখল বেড়েছে।
বিপিএলের আগে এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। আজ সেঞ্চুরি করে বিপিএলেও সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বনে গেছেন। ১১ ম্যাচে ৩ ফিফটি ১ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ৪৪৪, নাঈমের স্ট্রাইকরেট ১৪৮.৯৯। কঠোর অনুশীলনই নাঈমের এমন বদলে যাওয়ার বড় কারণ। স্কিল ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি মানসিকতা বদলানো নিয়ে কাজ করেছেন। নাঈম বলছেন, মুশফিকুর রহিম পরামর্শ দিয়েছেন রিভার্স সুইপ খেলতে। সেই পরামর্শও কাজে লেগেছে বলেছেন তরুণ ওপেনার।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নাঈমেরর অপরাজিত ১১১ রানের কল্যাণে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৪৪ রানে জিতেছে খুলনা টাইগার্স। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে নাঈম বলেন, ‘সর্বশেষ যতগুলো টুর্নামেন্ট খেলেছি, নিজের শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করেছি। মাঠে সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। ভালো খেলার রহস্যের কারণ বিশদভাবে বলতে গেলে অনেক লম্বা হয়ে যাবে। শুধু এক কথায় বললে, অফ-সিজনে কঠোর পরিশ্রম করেছি।’
মুশফিকুর রহিমের পরামর্শ কিভাবে নাঈমের ব্যাটিং উন্নতিতে কাজে লেগেছে তার ব্যাখ্যায় বলেছেন এভাবে, ‘আগে অফ-স্পিনে অনেক সংগ্রাম করতাম। সেই জায়গা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেছি- কীভাবে ডট বল কমিয়ে স্ট্রাইক রোটেট করা যায়। আর রেঞ্জ হিটিং নিয়ে কাজ করেছি। তিন বছর আগে মুশফিক ভাই আমাকে বলেছিলেন, রিভার্স সুইপ নিয়ে কাজ করলে ব্যাটিং আরও সহজ হয়ে যাবে। এখন অফ-স্পিনে সুইপ ও রিভার্স সুইপ বেশ সহজ হয়ে গেছে। আগে স্লগ সুইপ ভালো খেলতাম, কিন্তু মাঝখানে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল। বলতে গেলে ব্যাপারটা লম্বা হয়ে যাবে। তবে হ্যাঁ, কিছু জিনিস পরিবর্তন করেছি বলেই সাফল্য আসছে।’
সারাবাংলা/এসএইচএস