Wednesday 05 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নখ কামড়ানো উত্তেজনা শেষে ফাইনালে চিটাগং

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:৩১ | আপডেট: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:৪৯

উত্তেজনা, নাটকীয়তা, আর পরিপূর্ণ ক্রিকেট বিনোদন শেষে একাদশ বিপিএলের ফাইনালে উঠে গেল চিটাগং কিংস। ম্যাচের শেষটা হলো চরম নাটকীয়তার। শেষ ওভারে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে জয়ের জন্য চিটাগং কিংসের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। ক্রিজে তখন দু্ই বোলার আরাফাত সানি ও আলিস আল ইসলাম। ইনিংসের তৃতীয় বলে ক্রিজে পরে গিয়ে আহত হলেন আলিস ইসলাম। সেই আলিসই ওভারের শেষ বলে চার হাঁকিয়ে ফাইনালে নিয়ে গেলেন চিটাগং কিংসকে!

বিজ্ঞাপন

নাটকে ভরপুর ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটে জিতেছে চিটগাং। একাদশ বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আগে ব্যাটিং করে শুরুতে বিপদে পরলেও শিমরন হেটমায়ারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৬৩ রান তুলেছিল খুলনা টাইগার্স। এরপর ম্যাচটা খুলনার হাতেই ছিল। শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ম্যাচ জিতে নিয়েছে চিটাগং।

১৬৩ রানের জবাব দিতে নেমে ১১৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে ফেলে চিটাগং। বন্দরনগরীর দলটা আজ ছয়জন ব্যাটার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বলে এরপর আর স্বীকৃত কোনো ব্যাটার তাদের ছিল না। অথচ জিততে তখনও ৪৭ রান লাগত চিটাগংয়ের। বল হাতে ছিল ২৯টি।

১৭ ওভার শেষে চিটাগংয়ের স্কোর ছিল ৭/১৩০। শেষ তিন ওভারে তিন উইকেট হাতে রেখে ৩৪ রান প্রয়োজন ছিল দলটির। তারপরের গল্পটা দুই স্পিনার আরাফাত সানি ও আলিস আল ইসলামের। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে পায়ে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় আলিস ইসলামকে। পরে শরিফুল ইসলাম দুই বল খেলে ৪ রান করে আউট হন। ইনিংসের শেষ বলে জয়ের জন্য ৪ রান প্রোয়াজন ছিল চিটাগংয়ের। ‘আহত’ আলিস আবারও মাঠে ফেরেন। শেষ বলে চার হাঁকিয়ে পুরো চট্টগ্রামকে নিয়ে উল্লাসে মেতেছেন আলিস।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৬৩ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চিটাগংয়ের। পারভেজ হোসেন ইমন (৪) ও গ্রাহাম ক্লার্ক (৪) দ্রুত ফিরেছেন। এরপর দুই পাকিস্তানি ব্যাটার খাওয়াজা নাফাই ও হুসাইন তালাতের ব্যাটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় চিটাগং।

কিন্তু এই দুজন ফেরার পর আবারও ধস নামে চিটাগংয়ের ইনিংসে। ২৫ বলে ৫টি চার ১টি ছয়ে ৪০ রান করে ফিরেছেন তালাত। খাওয়াজা ৪৬ বলে ৪টি চার ৩টি ছয়ে ৫৭ রান করে ফেরেন। তার আগে শামীম হোসেন পাটোয়ারী ৫ রান করে ফিরছিলেন। সব মিলিয়ে শেষ দিকে ম্যাচটা খুলনার হাতেই ছিল।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু শেষ দিকে চিটাগংয়ের দুই স্পিনার আরাফাত সানি ও আলিস আল ইসলামকে আটকাতে পারেনি খুলনার বোলাররা। আরাফাত সানি ২ চারে ১৩ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন শেষ অবদি। একবার আহত হয়ে আবার মাঠে ফেরা আলিস আল ইসলাম ৭ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন। তার ইনিংসে চার ২টি, ছক্কা ১টি।

এর আগে খুলনাকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দিয়েছেন শিমরন হেটমায়ার। খুলনার ব্যাটিংয়ের শুরুটা হয়েছিল ভূতুড়ে! ওপেনিংয়ে নেমে নিয়মিত রান পাচ্ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। আজ পুরোপুরি ব্যর্থ। ৬ বল খেলে মাত্র ২ রান করে সরাসরি বোল্ড হয়েছেন।

ফর্মে থাকা অ্যালেক্স রক্স আজ ফিরেছেন শূন্য রানে। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক নাঈম শেখও আজ ব্যর্থ। ২২ বলে ১৯ রান করে ফিরেছেন নাঈম। ১৪ বল খেলে ৮ রান করে আফিফ হোসেন ধ্রুব যখন ফিরলেন খুলনা তখন ৪/৪২! তখন খেলা চলছিল নবম ওভারের।

সেই জায়গা থেকে খুলনাকে টেনেছেন সিমরন হেটমায়ার ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। অঙ্কন এবারের বিপিএলের শুরু থেকেই মিডল অর্ডারে রান করছেন। আর হেটমায়ার বিপিএলে এসেছেন কদিন আগে। দ্রুত চার উইকেট পতনের পর খুলনার হয়ে শুরুতে ধরে খেলেছেন দুজন। ক্রিজে পরে থাকতে চেয়েছেন।

সেট হওয়ার পর শেষ দিকে প্রতিআক্রমণ করেছেন। সেই চেষ্টায় হেটমায়ার সফল, অঙ্কন ব্যর্থ। রানের গতি বাড়াতে গিয়ে ৩২ বলে ১ চার ৩টি ছয়ে ৪১ রান করে ফিরেছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। আর হেটমায়ার শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত রীতিমতো নাচিয়েছেন চিটাগংয়ের বোলারদের।

৩৩ বল খেলে ৬টি চার ৩টি ছয়ে ৬৩ রান করে ফিরেছেন হেটমায়ার। শেষ দিকে ৫ বলে ১২ রান করেছেন আরেক ক্যারিবিয়ান জেসন হোল্ডার। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানে থেমেছে খুলনা।

চিটাগংয়ের হয়ে ২৭ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন বিনুরা ফের্নান্দো।

সারাবাংলা/এসএইচএস

বিপিএল ২০২৫

বিজ্ঞাপন

'আলিস বিশ্বাস রাখ, তুই পারবি'
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪৯

আরো

সম্পর্কিত খবর