সাবেক অধিনায়কদের ডেকে বিসিবি সভাপতির বৈঠক
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৩১ | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:২৬
দারুণ একটা নজির স্থাপন করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ। দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে পরামর্শ নিতে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়কদের ডেকেছিলেন ফারুক আহমেদ। দেশের ক্রিকেট বোর্ডের কোনো প্রধানের এমন ঘটনা দেখা গেল প্রথমবার।
ফারুক আহমেদ নিজেও জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। জাতীয় দলের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে বিসিবির শীর্ষ পদে বসেছেন তিনি। সেই কারণেই হয়ত সব অধিনায়ককে একত্রিত করার কথা ভাবলেন ফারুক!
কদিন আগে শেষ হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশতম আসর। সদ্য সমাপ্ত বিপিএল, আসন্ন ডিপিএল, ঘরোয়া ক্রিকেট, ক্রিকেট অবকাঠামোসহ সাবেক অধিনায়কদের সঙ্গে নানান বিষয়ে আলোচনা করেছেন বোর্ড সভাপতি। সাবেক অধিনায়করা নিজেদের অভিব্যক্তি জানিয়েছেন।
স্ব-শরীরে আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, হাবিবুল বাশার সুমন, রাজিন সালেহ, লিটন দাস, মুমিনুল হকরা উপস্থিত ছিলেন। জুমেও যুক্ত ছিলেন কয়েকজন।
বৈঠক শেষে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেছেন, ‘মিটিং বলতে কিছুটা মত বিনিময়; আমরা আলাপ করেছি। বিপিএলটা হয়ে গেল, সেটা নিয়ে আলাপ করেছি। সামনের বছরে খেলাটা কীভাবে সাজাতে পারি, তাদের মতামত কী… আগের অধিনায়করা ছিলেন, তার চেয়েও ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো আমাদের যে কারেন্ট ক্রিকেটার লিটন কুমার দাস ও মুমিনুল হকও ছিল এখানে। ক্রিকেটের এখন কী অবস্থা, সেটা তারা সবচেয়ে ভালো জানে।’
‘প্রত্যেক অধিনায়কই তাদের মতো করে নিজেদের মতামতগুলো দিয়েছে যে, কোন কোন জায়গায় উন্নতি করতে পারি, কোথায় পরিবর্তন দরকার বা কোথায় তেমন ভালো করছি না। এসব কিছু নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। এই বোর্ড অবশ্যই এই আলোচনাকে খুবই গুরুত্ব দেবে এবং এটার ভিত্তিতে কিছু সিদ্ধান্ত হবে। যেটা সামনে ক্রিকেট মাঠে বা সূচিতে হয়তো দেখতে পাব।’- যোগ করেন ফাহিম।
জুম মিটিংয়ে সাবেক দুই অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মর্তুজা উপস্থিত ছিলেন কিনা, এমন প্রশ্ন করতে কিছুটা রাগান্বিতই হলেন নাজমুল আবেদিন ফাহিম। ‘আর কোনো প্রশ্ন সাকিবকে নিয়ে?, ধন্যবাদ’- এভাবে বলে সরাসরি বেরিয়ে যান ফাহিম।
এদিকে, এমন আলোচনায় আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সাবেক অধিনায়করা। সাবেক অধিনায়ক রাজিন সালেহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অবশ্যই এটা ইতিবাচক পদক্ষেপ। বিগত দিনেও যদি এরকম করে ডাকা হতো বা আলোচনা করা হতো, তাহলে বাংলাদেশ ক্রিকেট আরও এগিয়ে যেত। আলোচনার পরই যে কোনো একটা উত্তর বের হয়। আমি মনে করি, এখান থেকে ইতিবাচক উত্তর অনেক কিছুই বের হয়েছে। এটাকে ইতিবাচক হিসেবে নিচ্ছি এবং সামনে যেন এটা ধারাবাহিক থাকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট যদি এগোতে চায়, বিভিন্ন নীতি-নির্ধারকরা আছেন, তারা যদি নিজেদের ভাবনা শেয়ার করেন, তাহলে বাংলাদেশ ক্রিকেট এগোবে।’
সারাবাংলা/এসএইচএস