স্পোর্টস ডেস্ক ।।
রাশিয়া বিশ্বকাপে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে সামারা স্টেডিয়ামে উরুগুয়ের মুখোমুখি হয়েছে স্বাগতিক রাশিয়ার। ইতোমধ্যেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে দুই দল। টানা দুই ম্যাচ জিতেছে তারা। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নেমে প্রথমার্ধ শেষে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে উরুগুয়ে।
ম্যাচের শুরু থেকেই সমানতালে খেলতে থাকে দু’দল। আক্রমণও চলে সমানে সমানে।
তবে ম্যাচের ৯ মিনিটে রাশিয়ার মিডফিল্ডার ইউরি গ্যাজিনস্কি উরুগুয়ে স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন। আর তাতেই ডি-বক্সের সামান্য বাইরে ফ্রি-কিক পায় উরুগুয়ে। সেখান থেকে দারুণ শটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন বার্সেলোনা স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ।
তবে ম্যাচে ফেরার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল রাশিয়া। ম্যাচের ১২ মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো বল থেকে জোরালো এক শট নেন রাশিয়ান মিডফিল্ডার ডেনিস চেরিশেভ। তবে তার নেয়া জোরালো সেই শট রুখে দেন উরুগুয়ে গোলরক্ষক ফার্নান্দো মুসলেরা।
এরপর ম্যাচের ২৪ মিনিটে চেরিশভের আত্মঘাতি গোলে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো এক শটে নেন উরুগুয়ে মিডফিল্ডার দিয়েগো ল্যাক্সালত। সেখান থেকে চেরিশভের পায়ে বল লেগে চলে যায় স্বাগতিকদের জালে। এরপর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নে দক্ষিণ আমেরিকান দলটি।
ম্যাচের ২৭ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন দিয়েগো ল্যাক্সালতকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন রাশিয়ান ডিফেন্ডার ইগোর স্মলনিকভ। এরপর ম্যাচে ফিরতে লড়াই চালিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
তবে ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিবর্তন হয় স্বাগতিক রাশিয়া। ১০ মিনিটের ব্যবধানে ল্যাক্সালতকে আবারো ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড আর লাল কার্ড দেখে মাঠে ছাড়েন স্মলনিকভ।
ম্যাচের ৩৮ মিনিটে মিডফিল্ডার চেরিশেভকে উঠিয়ে ডিফেন্ডার মারিও ফার্নান্দেসকে বদলি হিসেবে মাঠে নামান রাশিয়ান কোচ।
এরপর বিরতির আগে আর গোল না হলে তাতেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় উরুগুয়ে।
বিরতির পর মিডফিল্ডার গ্যাজিনস্কির বদলি হিসেবে দালের কুজইয়ায়েভকে মাঠে নামান রাশিয়ান কোচ।
মাঠে নেমে শুরু থেকেই দশ জনের রাশিয়ার বিপক্ষে আক্রমণ শুরু করে সুয়ারেজ-কাভানিরা। তবে ম্যাচে ফিরতে লড়াই চালায় স্বাগতিকরাও। তবে আক্রমণ চালিয়ে গেলেও গোল পায়নি দুদল।
এরপর ম্যাচের ৬০ মিনিটে আলেক্সি মিরানচুককের বদলি হিসেবে আক্রমণভাগে মাঠে নামেন ফেদর স্মলভ।
ম্যাচের ৬৪ মিনিটে দলের প্রথম পরিবর্তন আনেন উরুগুয়ে কোচ। মিডফিল্ডার রদ্রিগো ভেনটাঙ্কুরের বদলি হিসেবে স্ট্রাইকার জিওর্জিয়ান ডি অ্যারাসকায়েতাকে মাঠে নামান তিনি।
ম্যাচের ৭৪ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে ডি-বক্সে সতীর্থের বাড়ানো বল পেয়ে বাঁ পায়ের লক্ষ্যহীন শট খেলে সেই সুযোগ নষ্ট করেন রাশিয়ান ফরোয়ার্ড আর্তেম জিউভা।
ম্যাচের ৭৮ মিনিটে উরুগুয়ে মিডফিল্ডার নাহিটান নান্দেজের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন ক্রিশ্চিয়ান রদ্রিগেজ।
তবে ৮১ মিনিটে ব্যবধান আরো বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল উরুগুয়ে। কিন্তু ডি-বক্সে সুয়ারেজের বাড়ানো বল থেকে শট নিতে ব্যর্থ হয়ে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন কাভানি।
এরপর ম্যাচের ৮২ মিনিটে উরুগুয়ে মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ান রদ্রিগেজের বাঁ পায়ের জোরালো এক শট রুখে দেন রাশিয়ান গোলরক্ষক ইগোর আকিনফিভ।
ম্যাচের ৮৬ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পান কাভানি। সতীর্থের বাড়ানো বল পেয়ে ডি-বক্সে জোরালো শট নিলেও তা রুখে দেন রাশিয়ান ডিফেন্ডার সার্জেই ইগনাশেভিক।
ম্যাচের ৯০ মিনিটে দারুণ এক গোল করেন কাভানি। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল থেকে হেড নেন উরুগুয়ে ডিফেন্ডার দিয়েগো গোডিন। তবে সেই বল রুখে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক। কিন্তু ফিরতি বল থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল বল জালে জড়ান কাভানি।
এরপর যোগ করা সময়ে কাভানির বদলি হিসেবে মাঠে নামেন উরুগুয়ে স্ট্রাইকার ম্যাক্সি গোমেজ।
ম্যাচের বাকি সময়ে আর গোল না হলে ৩-০ গোলের জয় তুলে সুয়ারেজ কাভানিরা।
সারাবাংলা/এসএন