পার্কিনসন্স জড়ানো কথায় ডেকে যাচ্ছে সারাদিন। গোপনে ছুঁয়ে আছে তসবিহর দানা, গোটানো আঙুল ছুঁয়ে আছে পুরোনো স্পর্শের মায়া। অন্যকিছুই মনে রাখছে না আর; অথচ বালিশের নিচে গুটিয়ে রেখেছে সোনামুখ, কিশোরবেলার প্রেম, পুরোনো চশমার আলো। সেই …
১৮৯০ সাল থেকে একাধিক শট সংবলিত, কয়েক মিনিট দৈর্ঘ্যের ছবি তৈরী হতে শুরু করে। ১৮৯৫ সালের ২৮শে ডিসেম্বর ফ্রান্সের প্যারিস শহরে লুমিয়ের ভ্রাতৃদ্বয় (অগাস্তে এবং লুই লুমিয়ের) তাদের তৈরী দশটি ছোট ছোট চলচ্চিত্র প্রথমবারের জন্য …
মা আজ আমরা বিয়ে করব। শাহানা কী একটা হিসাব নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, তাই তার কানে বোধ হয় কথাটা স্পষ্টভাবে পৌঁছায়নি। তিনি হিসাবের কাগজ থেকে মুখ তুলে মেয়ে সারানার দিকে তাকিয়ে বললেন, কী বললি বুঝতে পারিনি। …
কথিত চিরন্তন প্রত্যাবাসনে পরিতোষ আবশ্যক। দ্বন্দ্বের প্রভঞ্জন নাড়া দিয়ে যায়— ‘ফাল্গুনের রাতের আঁধারে’ যেন ‘গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ’। যুবকের জানা ছিল কি না অনিশ্চিত; প্রাণ গেলে অপ্রত্যাশিত হয় প্রিয়তমর শীতল লাশ। হাসপাতালের মেঝেতে, কিছুটা দূরে …
সল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাটিক এক জীবন নেতার। যার পুরোটাই গল্পে ঠাসা। সে গল্প রাজনীতি, আন্দোলন-সংগ্রাম ও কারাগারের। শুরুটা ছিল সাদামাটা। পরিকল্পনাহীন। তবে বড় এক স্বপ্ন ছিল। ছুুটছিলেন সেই স্বপ্নের পেছনে। স্বপ্ন ধরার পথে তার সম্বল ছিল একটি …
প্রতিরক্ষাচুক্তির চিন্তায় তোমার কথা ভুলে গেছি প্রিয়। চীনের সাবমেরিনের গোলায় তুমি অভিমান উড়িয়ে দিও। উড়িয়ে দিও। তেল খাওয়া কমিয়ে দেওয়া যায় দেওয়াও তেলের ব্যবহার কমিয়ে দেওয়া যায় বিশেষত, সয়াবিনের মতো প্রচুর ট্যাবলেট ইত্যাদি কফির কাপে …
মূল: এডওয়ার্ড লুকাস হোয়াইট, অনুবাদ: হিল্লোল দত্ত [এডওয়ার্ড লুকাস হোয়াইট (১১ মে, ১৮৬৬-৩০ মার্চ, ১৯৩৪) একজন মার্কিন কবি ও লেখক। নিউ জার্সির বের্গেন কাউন্টিতে তার জন্ম। বাল্টিমোরের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনো শেষ করে আমৃত্যু …
আমার সমূহ অস্থিরতার ভেতরে উঠে আসা চাঁদ গলিত অন্ধকার দেখে আঁতকে ওঠে তখন একটা সাপ মোড়ানো হাত জ্যোৎস্নাকে ছোবল মারলে তুমি কেবল সম্পর্কের স্বাদ ভুলে যাও ভুলে যাও কেউ একজন বিশ্বাসে ফিরছে। এখন তোমার প্রতিদ্বন্দ্বী …
ঘরের দাওয়ায় বাঁশের খুটিতে হেলান দিয়ে বসে আছে নহর আলী। রাত পেরিয়ে কেবল সকাল হয়েছে। বাড়ির এক কোণে নড়বড়ে বাঁশের মাচায় লকলকিয়ে বেড়ে উঠছে একটি লাউগাছ। সকালের নরম রোদে যেন প্রাণখুলে হাসছে লাউয়ের পাতাগুলো। নহরের …
প্রতিবার ঈদ এলেই শীতের সকালে আব্বা কসকো সাবান মেখে আমাদের গোসল করাতেন। নতুন কাপড় পরে মায়ের হাতের মলিদা খেয়ে আব্বাকে সালাম করলে পাঁচ টাকা করে দিতেন। সেই পাঁচটাকায় আমরা চশমা-ঘড়ি কিনতাম; আজকাল পাঁচশ কিংবা পাঁচ …