Saturday 14 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খালেদাকে ছাড়া বিচার কাজ চলবে কি না, জানা যাবে ২০ সেপ্টেম্বর


১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৩:২৬ | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৮:২২
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আদালতে খালেদা জিয়া

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা : খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচার কাজ চলবে কি না এবং তার জামিন বৃদ্ধি চেয়ে করা আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান এই দিন ঠিক করেন।

এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবীরা। এ বিষয়ে বিচারক বলেন, জেলকোড অনুযয়াী কারা কর্তৃপক্ষই সিদ্ধান্ত দেবে।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার। মামলার অন্য দুই আসামী জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনির ইসলাম খানের পক্ষে শুনানি করেন আমিনুল ইসলাম ও আকতারুজ্জামান। দুই আসামিই কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মহানগর পিপি আবদুল্লাহ আবু, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন মানিক।

গত বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রথমবারের মতো নাজিমউদ্দিন রোডের এই পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হয়ে বলেন, অসুস্থতার কারণে তিনি আর আদালতে হাজির হতে পারবেন না। আদালত তাকে যা খুশি সাজা দিতে পারেন। তার আইনজীবীরাও সেদিন উপস্থিত হননি আদালতে।

এর আগে, রাষ্ট্রপক্ষ কারাগারে অস্থায়ী আদালত স্থাপন করে এই মামলার কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করে। রাষ্ট্রপক্ষ বলেন, অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া এই মামলায় বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতে শুনানির জন্য হাজির হতে পারছেন না এ পরিস্থিতিতে বিচার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা আদালতকে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরের আবেদন জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৪ সেপ্টেম্বর এই কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষকে অস্থায়ী আদালত হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। যদিও খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা দাবি করেন, তারা আদালত স্থানান্তরের কোনো নোটিশ পাননি। সে কারণে ৫ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে তারা কারাগারের আদালতে উপস্থিত হননি। পরে আদালত আজ ১২ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানির জন্য নতুন দিন ঠিক করে দেন।

দুর্নীতির এই মামলায় মোট আসামি চার জন। খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত অন্য তিন আসামি হলেন— খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

মামলাটিতে খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।

আরো পড়ুন : খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে দুই আইনজীবীর আবেদন

সারাবাংলা/এজেড/এসএমএন

 

খালেদা জিয়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর