ঢাকা: প্রাথমিক শিক্ষার মানন্নোয়নে সঙ্গীত, শারীরিক শিক্ষাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের আরও ১ লাখ ৬৯ হাজার ১২৪ টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। শিক্ষকদের এই নতুন পদ সৃষ্টির জন্য একটি প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, মানসম্মত শিক্ষাদানের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটে সবশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৩ হাজার ৬০১ টি। এই সংখ্যক বিদ্যালয়ের জন্য শিক্ষক রয়েছেন ৩ লাখ ২২ হাজার ৭৬৬ জন। জানা গেছে, বর্তমান সরকারের সময়ে তিন দফায় ২৬ হাজারের বেশি বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের একটা বড় অংশ মানসম্মত পাঠদানে অভিজ্ঞ নন। তাদের জন্য প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করে দেড় লাখেরও বেশি নতুন পদ সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৩২ হাজার ৫৭৭ টি শূন্য থাকা সহকারী শিক্ষকের পদে নিয়োগ দিতে প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, নতুন করে পদ সৃষ্টির প্রস্তাবে ১ লাখ ৬৯ হাজার ১২৪ জন শিক্ষকের মধ্যে ২ হাজার ৫৮৩ সঙ্গীত, ২ হাজার ৫৮৩ শারীরিক শিক্ষা, ৯৮ হাজার ৩৩৮ সাধারণ শিক্ষক এবং ৬৫ হাজার ৬২০ সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে। শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রাথমিক শিক্ষকের পদ সৃষ্টির পাশাপাশি সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ১ হাজার ৬৮০ টি নতুন পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়েছে জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ে।
এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম আল হোসেন জানান, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনে শিক্ষকদের ঘাটতি পূরণের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। পদ সৃষ্টি হচ্ছে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারও।
উল্লেখ্য, এর আগে প্রধান শিক্ষকের ৩১৮ টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল ১ হাজার ২৭২ টি। পাশাপাশি প্রাক-প্রাথমিক স্তরের জন্য ২৬ হাজার ৩৬৬ টি পদ সৃষ্টি করা হয়। জানা গেছে, এসব পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া এরই মধ্যে চুড়ান্ত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।