Wednesday 11 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দুর্গাপূজায় মণ্ডপে পুলিশ মোতায়েন না করার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ


১৯ অক্টোবর ২০২০ ১৫:২৫ | আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২০ ১৭:২৩
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রাম ব্যুরো: দুর্গাপূজায় মণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ-আনসার মোতায়েন না করার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ। এর ফলে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নিরাপদে দুর্গাপূজা করতে পারবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিষদের নেতারা।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পূজামণ্ডপ থেকে স্থায়ী পুলিশ-আনসার মোতায়েনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার নিয়ে কথা বলেন পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সভাপতি চন্দন তালুকদার।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সরকার মৌলবাদী গোষ্ঠীর উত্থান আপাতত সামাল দিতে পারলেও তাদের গোপন কার্যক্রম এখনও চলছে। প্রতিনিয়ত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নানাভাবে নির্যাতনের খবর পত্রিকায় পাওয়া যাচ্ছে। এতে সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন এমনিতেই শংকিত। কিন্তু সরকারের আরেকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে এই শঙ্কা আরও বেড়েছে।

বিজ্ঞাপন

‘প্রতিবছর পূজামণ্ডপে স্থায়ীভাবে ৪ থেকে ১০ জন পুলিশ-আনসার এবং ৫ থেকে ১০ জন গ্রাম পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হত। কিন্তু এবার সেটা রদ করে শুধু টহল পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে পূজা কমিটিগুলো মণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। সনাতন সম্প্রদায়ের জনগণ আরও শংকিত’, বলেন এই নেতা।

পঞ্জিকার তথ্য অনুসারে, আগামী ২২ অক্টোবর মহাষষ্ঠী তিথিতে বোধন ও দেবী বন্দনার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা শুরু হবে। পরদিন সপ্তমী তিথিতে পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে মূল আয়োজন। ২৬ অক্টোবর দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আয়োজন শেষ হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, এবার চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৬টি থানায় ঘটপূজাসহ ২৭৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে। ২৬ অক্টোবর প্রতিবছরের মতো পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে পূজামণ্ডপে কোনোভাবেই লোকসমাগম যাতে বেশি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য মহানগরীর সব আয়োজককে অনুরোধ করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনাকাল হওয়ায় আলোকসজ্জা-মঞ্চসজ্জাসহ ব্যয়বহুল আয়োজন বাদ দিয়ে সেই অর্থ যেন গরীব-দুঃস্থকে দেওয়া হয়। প্রত্যেক মণ্ডপে যেন স্বাস্থ্যসুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া বেশি লোকসমাগম নিরূৎসাহিত করার জন্য সকল মণ্ডপ কমিটিকে অনুরোধ করা হয়েছে।

একইভাবে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিমা বিসর্জন হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে বিসর্জনের সময় কোনো ধরনের আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শোভাযাত্রা হবে না বলে পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনকে দুর্গোৎসবকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া, চার দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা, সেনা-নৌ-বিমানবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ সকল সরকারি ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে আনুপাতিক হারে সংখ্যালঘুদের নিয়োগ দেওয়াসহ ১২ দফা দাবি জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দাশ অসিত, সাবেক সভাপতি সাধন ধর, বিমল দে, অরবিন্দ পাল অরুণ, সহ-সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য, রানা বিশ্বাস এবং সুমন দেবনাথ।

দুর্গাপূজা পুলিশ-আনসার সনাতন ধর্মাবলম্বী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর