সাতক্ষীরা: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় কথিত পীর মো. মিজানুর রহমান ও তার সহযোগী ও জামাতা মো. আবু নাইমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরে নিজ আস্তানা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মিজানুর রহমান শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ধুমঘাট অন্তাখালী গ্রামের মৃত দীনদার গাজীর ছেলে ও আবু নাইম শরীয়তপুরের সখিপুর থানার মোল্যাবাজার গ্রামের নুরুল হুদার ছেলে।
এর আগে প্রতারণাসহ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ এনে শ্যামনগরের শংকরকাটি গ্রামের সিদ্দিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদি সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, ‘মিজানের নির্দেশনায় তার জামাতা আবু নাইম ‘শরীয়তের মানদণ্ডে ওলীগণের হালত’ নামীয় একটি বই প্রকাশ করে। সেই বইয়ের বিভিন্ন অংশে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে।’
এদিকে মিজান একজন প্রতারক দাবি করে তাকে আইনের আওতায় নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে শ্যামনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মিজানের প্রতারণার শিকার হয়েছেন দাবি করে চাঁদপুর জেলার মহামায়াবাজারের বেলায়েত হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন, শরিয়তপুরের সখিপুর থানার মাঝিকান্দি গ্রামের মৃত বশির আহম্মেদের ছেলে জাফর আহম্মদ ও ঢাকা পল্লবীর রুপনগর টিনসেড এলাকার মৃত আব্দুল হান্নানের ছেলে আব্দুল হালিম এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
এর আগে, গত শুক্রবার মিজানকে ভণ্ড আখ্যায়িত করে তার আস্তানা গুড়িয়ে দিতে কয়েকশ মানুষ আস্তানা অভিমুখে পদযাত্রা করেছিল। পুলিশ ও সেনাবহিনী সদস্যরা পথিমধ্যে উত্তেজিত জনতাকে আটকে দেয়। সে সময় উপজেলা ওলামা পরিষদের নেতারা মিজানকে আইনের আওতায় আনতে তিনদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবীর মোল্লা বলেন, ‘সিদ্দিকুল ইসলামের দায়েরকৃত মামলার আসামি হিসেবে মিজানুর রহমান ও আবু নাইমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আবু নাইমের সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘শরীয়তের মানদণ্ডে ওলীগণের হালত’ নামীয় বইয়ের মাধ্যমে মুসলমান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে তাদের দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।