বলিউডের অন্যতম স্টার কাপল সাইফ আলি খান ও কারিনা কাপুর খান। ২০১২ সালে বিয়ের পর থেকে তাদের পরিবার ও ভালোবাসার গল্প ঘিরে বহু চর্চা, বহু অনুরাগ। দুই সন্তান তৈমুর ও জেহকে নিয়ে তাদের সাজানো সংসার প্রায়ই উঠে এসেছে খবরের শিরোনামে। তবে এবার এক চাঞ্চল্যকর দাবিতে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন এই দম্পতি।
পাকিস্তানি সাংবাদিক মুবাসের লুকম্যান সম্প্রতি দাবি করেছেন, বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন সাইফ-কারিনা। তার বক্তব্য অনুযায়ী, দাম্পত্য জীবনে জটিলতা বাড়ছে, এবং একাধিক বিষয়ে মতবিরোধের জেরে সম্পর্কে ফাটল ধরেছে তাদের।
মুবাসের লুকম্যান জানিয়েছেন, ভারতীয় একটি ‘বিশ্বস্ত সূত্র’ থেকে তিনি জানতে পেরেছেন, কারিনা নাকি সাইফকে হাতেনাতে ধরেছেন অন্য এক নারীর সঙ্গে। এ থেকেই শুরু হয় সম্পর্কের অবনতি। শুধু তাই নয়, সাইফ নাকি কাতারে স্থায়ীভাবে বসবাসের পরিকল্পনা করছেন, যেখানে কারিনা যেতে নারাজ। ফলে এ নিয়েও তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে তীব্র মনোমালিন্য।
সবচেয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ, সাইফের উপর অতীতে যে হামলা হয়েছিল, তার পেছনেও নাকি কারিনার হাত রয়েছে—এমনও দাবি করেছেন মুবাসের। যদিও এই দাবিগুলোর সঙ্গে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি তিনি।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বলিউডে শুরু হয় জল্পনা-কল্পনা। তবে সাইফ কিংবা কারিনা এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে মুখ খোলেননি। বলিউডের একাংশ এই গুঞ্জনকে পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তারা মনে করছেন, এটি নিছকই গসিপ এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা হতে পারে।
এক সিনিয়র প্রযোজক বলেন, ‘কারিনা ও সাইফ ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুবই সচেতন। তারা মিডিয়ার সামনে সবসময়ই দায়িত্বশীল দম্পতি হিসেবে ধরা দিয়েছেন। কোনো অফিসিয়াল বিবৃতি ছাড়া এই ধরনের দাবি করা খুবই অসংবেদনশীল।’
সাইফ আলি খান ও কারিনা কাপুরের প্রেম কাহিনি শুরু হয় ২০০৭ সালের দিকে। দীর্ঘ প্রেমের পর ২০১২ সালে তারা বিয়ে করেন। এর আগে সাইফের প্রথম স্ত্রী ছিলেন অভিনেত্রী অমৃতা সিং, যার সঙ্গে তার দুটি সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর কারিনা নিজের ক্যারিয়ার ও সংসার—দুই-ই চালিয়ে নিয়ে গেছেন দক্ষতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি একজন স্ত্রী, মা এবং অভিনেত্রী—এই তিনটি পরিচয়ই আমার জীবনের অংশ, এবং আমি প্রতিটা উপভোগ করি।’
পাকিস্তানি সাংবাদিকের এই দাবির পেছনে সত্যতা কতটা রয়েছে তা সময়ই বলবে। বলিউডে আগেও বহুবার তারকাদের বিচ্ছেদ নিয়ে গুজব উঠেছে, যার অনেকটাই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে পরে। তেমনই, হয়তো এটি আবারও একটি গসিপ বুদবুদ হয়ে মিলিয়ে যাবে।
তবে ভক্তরা চাইছেন—সাইফ-কারিনা নিজেরা এসে এই বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিন। তাদের মতে, “আমরা চাই, তারা ভালো থাকুক। এই ধরনের গুজব থেকে তারা যেন সুরক্ষিত থাকেন।”