বলিউডের শুটিং সেটে নায়িকাদের নিরাপত্তাহীনতার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তেমনই একটি কষ্টকর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছিলেন বলিউডের ঐশ্বর্য রেখা। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বড় পর্দায় অভিষেক হওয়ার পরই তিনি একটি অপ্রত্যাশিত ও মানসিকভাবে ভঙ্গুর মুহূর্তের সম্মুখীন হন, যা তার জীবন ও অভিনয়জীবনের ওপর গভীর ছাপ ফেলে।
১৯৬৯ সালে ‘অঞ্জনা সফর’ নামের ছবির মাধ্যমে রেখার অভিনয়জীবন শুরু হয়। পরে ছবিটির নাম বদল করে ‘দো শিকারি’ রাখা হয়। ছবির শুটিং চলাকালে তার বিপরীতে ছিলেন বাংলা সিনেমার সুপরিচিত অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ছবির এক রোমান্টিক দৃশ্যে পারস্পরিক সম্মতি ও প্রস্তুতির মাধ্যমে আবেগপ্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু আচমকা বিশ্বজিৎ রেখাকে পাঁচ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে চুম্বন করতে থাকেন, যেখানে রেখার কোনও সম্মতি ছিল না।
রেখার বয়স তখন মাত্র পনেরো, কিন্তু বিশ্বজিৎ ছিলেন তিরিশের মাঝামাঝি একজন পুরুষ। এই ঘটনার সময় ক্যামেরা চালু ছিল এবং উপস্থিত সবাই এই অপ্রীতিকর দৃশ্য প্রত্যক্ষ করলেও, পরিচালক কিংবা শুটিং টিমের কেউ সেখানে হস্তক্ষেপ করেননি। বরং তারা নিরব ভূমিকা পালন করেছিল, যা রেখাকে একঘেয়ে ও নিরস্ত্র করে তোলে।
শুটিং সেটের আড়ালে সেই ঘটনায় রেখা মানসিকভাবে দারুণভাবে ভেঙে পড়েন। অভিনেত্রীর জীবনী ‘রেখা: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’তে উল্লেখ করা হয়, এই ঘটনাটি তার জীবনে এক গভীর ট্রমার সৃষ্টি করেছিল। তবে পরবর্তীতে রেখা নিজেই স্বীকার করেছেন, এই কষ্টের মধ্য দিয়ে যাওয়া অভিজ্ঞতা তার ব্যক্তিত্বের দৃঢ়তা ও আত্মবিশ্বাস গঠনে অবদান রেখেছে।
এ ঘটনা বলিউডের শুটিং সেটে শিল্পীদের নিরাপত্তা ও সম্মানের প্রয়োজনীয়তা এবং সেই সময়কার অনাচারের অন্ধকার দিক তুলে ধরে, যা এখনও সমসাময়িক আলোচনার বিষয়।
তথ্যসূত্র: বলিউড লাইফ