বলিউডের ইতিহাসে এক অবিনশ্বর নাম— ধর্মেন্দ্র। শক্তি, প্রেম, নায়কোচিত ঔজ্জ্বল্য আর পর্দা কাঁপানো ক্যারিশমায় তিনি হয়ে উঠেছিলেন ‘হি-ম্যান অব বলিউড’। কিন্তু গতকাল রাত থেকেই চারদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটাই প্রশ্ন— ধর্মেন্দ্র কি আর আমাদের মাঝে নেই? নাকি তিনি গুরুতর অসুস্থ— এখনও চিকিৎসাধীন?
মুম্বাইয়ের একাধিক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, প্রবীণ এই অভিনেতা আর নেই। দ্য হিন্দু, ফিল্মফেয়ার— একই সুর। এএনআই জানিয়েছে— ধর্মেন্দ্রর বাড়ির সামনে ভিড়, তারকাদের উপস্থিতি, নিরাপত্তা জোরদার। অভিনেত্রী হেমা মালিনীকে গাড়ি করে শ্মশানের দিকে যেতে দেখা গেছে বলেও দাবি— আর সেখানেই শুরু হয় উত্তাপ।
কিন্তু— অন্য সূত্র বলছে ভিন্ন কথা। ধর্মেন্দ্র জীবিত, কিন্তু গুরুতর অসুস্থ। বাড়িতে চিকিৎসাধীন, পরিবার চরম উদ্বেগে— তবুও নীরব। কেউ কথা বলছে না গণমাধ্যমের সঙ্গে।
দুই সপ্তাহ আগে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া ধর্মেন্দ্র আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাড়ির সামনে ব্যারিকেড, নিরাপত্তা বেড়ে যায়। তার তিন মেয়ে— এশা, অজিতা এবং বিজেতা— বাবার পাশে ছুটে আসেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে— পরিবার সতর্ক, পরিস্থিতি জটিল। হিন্দুস্তান টাইমস আবার জানিয়েছে— ধর্মেন্দ্র প্রয়াত, সকালে তার বাসার সামনে অ্যাম্বুলেন্স দেখা গেছে। হেমা মালিনী ও এশা দেওল নাকি ছিলেন পবনহংস শ্মশানে।
কিন্তু এখানেই মোড় ঘুরে যায়! এর আগেও এই মাসে ভুয়া মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তখন এশা দিওল বলেছিলেন— ‘মিডিয়া ভুল খবর ছড়াচ্ছে, আমার বাবা স্থিতিশীল। পরিবারকে গোপনীয়তা দিন।’
হেমা মালিনীর কণ্ঠেও তীব্র ক্ষোভ— ‘এটা ক্ষমার অযোগ্য! দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্যম কীভাবে এমন মিথ্যা ছড়ায়?’
ধর্মেন্দ্র— শুধু একজন নায়ক নন। তিনি ‘শোলে’-র ভীরু, প্রেমের প্রতীক, অ্যাকশনের প্রতিমা, এক প্রজন্মের আবেগ, আরেক প্রজন্মের নস্টালজিয়া। গ্রামের ছেলে থেকে আন্তর্জাতিক তারকা— সানি, ববি, এশা— তারই উত্তরাধিকার। হেমা মালিনী— জীবনের প্রেম, ঝড়, আলো, ছায়া।
আজ তার শারীরিক অবস্থা ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। গুঞ্জন, দাবি, পাল্টা দাবি— কিন্তু চূড়ান্ত সত্য এখনো আসেনি পরিবারের পক্ষ থেকে।