জেমস ক্যামেরনের সিনেমা মানেই চোখ ভরা বিস্ময়, কান ভরা মহাকাব্যিক শব্দ আর মনে রয়ে যাওয়া আবেগের ঢেউ। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে আবারও সেই ঢেউ তুলতে ফিরছে ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’— অ্যাভাটার সিরিজের তৃতীয় কিস্তি। মুক্তির আগে সাংবাদিক ও সমালোচকদের জন্য বিশেষ প্রদর্শনী হয়েছে, আর সেখানেই যেন রীতিমতো ‘পানডোরা ঝড়’!
প্রদর্শনী শেষে সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া দেখে বোঝাই যায়— ক্যামেরন আবারও তার ‘ভিজ্যুয়াল জাদু’তে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন। সমালোচক কোর্টনি হাওয়ার্ড তো সরাসরি লিখেছেন— ‘অ্যাভাটার ৩ মনে করিয়ে দেয় কেন সিনেমা হলে সিনেমা দেখা জরুরি!’
এ যেন বড় পর্দা ও 3D-র প্রতি আবারও প্রেমে পড়ানোর মতো অভিজ্ঞতা।
কলাইডারের পেরি নেমিরফ বলেছেন— পানডোরায় ফিরে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়েছে সিনেমাটি দেখে। এ যেন নীল-আধার পানডোরা আবার ডাকছে!
এই সিনেমার কেন্দ্রে সুল্লি পরিবার। আগের পর্বে নেটেয়ামের মৃত্যু তাদের জীবনে গভীর দাগ রেখে গেছে। সেই শোক, সেই লড়াই— তার মাঝেই আসে নতুন বিপদ।
প্রথমবারের মতো দর্শক দেখবে ‘আগুন উপজাতি’— যাদের আবির্ভাবই সিনেমার নতুন উত্তেজনা। মাইকেল লি লিখেছেন— ‘গল্প একটু কম আকর্ষণীয় হলেও ভিজ্যুয়াল-অ্যাকশন দাঁড়িয়ে যায় আলাদা এক উচ্চতায়।’
আর সেই উচ্চতায় পৌঁছাতে সাহায্য করেছেন স্যাম ওয়ার্থিংটন, জো স্যালদানা, সিগরনি উইভার, স্টিফেন ল্যাং, এমনকি কেট উইন্সলেটও।
জেমস ক্যামেরন জানিয়েছেন— এই সিনেমার ব্যবসায়িক ফলই ঠিক করবে অ্যাভাটারের ভবিষ্যৎ পথচলা। কারণ, প্রথম ‘অ্যাভাটার’ এখনও বিশ্বের সর্বোচ্চ আয়কারী সিনেমা, আর দ্বিতীয় কিস্তি সফল হলেও সেই রেকর্ড ছুঁতে পারেনি। তাই তরুণ- বুড়ো সব দর্শকের চোখ এখন ১৯ ডিসেম্বরের দিকে— বক্স অফিসে ক্যামেরন কি আবারও বাজিমাত করতে পারবেন?
কেন এই অ্যাভাটারের জন্য উত্তেজনা এত? কারণ ক্যামেরন মানেই কঠোর গবেষণা + মাসব্যাপী ভিজ্যুয়াল পরীক্ষানিরীক্ষা। কারণ অ্যাভাটার সিরিজই দর্শককে সবচেয়ে বেশি ডুবিয়েছে অন্য এক গ্রহের অনুভূতিতে। আর কারণ, ২০২৫ সালের শেষটা আবারও সিনেমাপ্রেমীদের করতে যাচ্ছে এক ‘বড় পর্দার উৎসবমুখর’।
‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’কে দেখেই যেন আবার মনে পড়ছে— বড় পর্দা এখনও বেঁচে আছে, বাঁচবে, আর আমাদের তাক লাগিয়ে দিতেই থাকবে। ১৯ ডিসেম্বর আসছে পানডোরার আগুনঝরা অভিযান। প্রস্তুত তো আপনি?