বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে শক্তিশালী ও সংবেদনশীল উপস্থিতি— আফসানা মিমি। অভিনয়, নির্মাণ, প্রযোজনা— সব জায়গাতেই তিনি নিজের স্বতন্ত্রতা ফুটিয়ে তুলেছেন। এবার সেই অভিজ্ঞতাকে নতুন এক পরিসরে ব্যবহার করতে চলেছেন এই অনবদ্য শিল্পী।
আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব— যেখানে বিশ্বজুড়ে ৯১ দেশের প্রায় ২৬৭টি চলচ্চিত্র যোগ দেবে দর্শকের হৃদয়ে আলো ছড়াতে। আর সেখানেই ওমেন ফিল্মমেকার বিভাগে বিচারকের আসনে বসছেন আফসানা মিমি।
এই বিভাগে প্রদর্শিত হবে নারী নির্মাতাদের পূর্ণদৈর্ঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও ডকুমেন্টারি। সেরা নির্মাতা, সেরা ফিকশন ও সেরা ডকুমেন্টারি নির্বাচনের দায়িত্ব সামলাবেন আন্তর্জাতিক জুরি প্যানেল— যেখানে মিমির সঙ্গে আছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক ক্রোয়েশীয় নির্মাতা আলেকজান্দ্রা মার্কোভিচ, ইরানি-অস্ট্রেলীয় ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট রোনাক তাহের, ফিলিপাইনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জেরাল্ডিন ভিলামিল এবং প্যারিসভিত্তিক নির্মাতা ম্যারিয়ন স্ট্যান্ডেফার।
শিল্পীদের এই বৈচিত্র্যময় দলটি যেন নিজেই একটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র-সম্মেলন— যেখানে প্রতিটি চোখ, প্রতিটি অভিজ্ঞতা চলচ্চিত্রকে দেখবে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে।
প্রতিবারের মতো এবারও উৎসবের প্রতিপাদ্য— ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ।’
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তন ও আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে ছড়িয়ে থাকবে প্রদর্শনী। থাকবে ১১-১২ জানুয়ারির উইমেন ফিল্মমেকারস কনফারেন্স, যেখানে বিভিন্ন দেশের নারী নির্মাতা ও গবেষকেরা একসঙ্গে আলোচনা করবেন চলচ্চিত্র, সমাজ ও সৃজনশীলতার পরিবর্তন নিয়ে।
ওমেন ফিল্মমেকার ও স্পিরিচুয়াল ফিল্মস ছাড়াও এবারের উৎসবে রয়েছে মোট ১০টি বিভাগ— বাংলাদেশ প্যানোরামা, এশিয়ান সিনেমা, রেট্রোস্পেকটিভ, ট্রিবিউট, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, শিশু চলচ্চিত্র এবং শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্মস।
প্রতিটি বিভাগই যেন সিনেমার অন্যরকম এক জানালা— যেখান থেকে দেখা যাবে নানা দেশের মানুষ, সমাজ, সংস্কৃতি ও অনুভূতির রঙ।