প্রতিবেদন দাখিল হয়নি, পেছালো নওশাবার মামলা
২ অক্টোবর ২০১৮ ১৩:০২
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভ ভিডিওতে এসে গুজব সৃষ্টির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনের তারিখ আগামী ১৪ নভেম্বর ঠিক করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করেনি। ফলে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।
আরও পড়ুন : মণিকর্ণিকার প্রথম ঝলক
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট জিগাতলায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অন্যপক্ষের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেসময় ফেসবুক লাইভে আসেন নওশাবা। ফেসবুক লাইভে তিনি জানান, জিগাতলায় চারজনকে মেরে ফেলা হয়েছে, একজনের চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। ওই সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওইদিন জিগাতলায় এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।
গত ২১ আগস্ট পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় নওশাবা জামিনে মুক্তি পান। এর আগে, গুজব সৃষ্টির অভিযোগে ৪ আগস্ট রাতে উত্তরা থেকে নওশাবা আহমেদকে আটক করে র্যাব। আটকের পরদিন তাকে তথ্যপ্রযুক্তি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। র্যাব-১ এর ডিএপি আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ সালের ৫৭ (২) ধারায় রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি করেন।
নওশাবাকে আদালতে নেওয়া হলে ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল হকের আদালত তাকে চারদিনের রিমান্ডে পাঠায়। প্রথম দফায় রিমান্ড শেষে ১০ আগস্ট আবারও নওশাবাকে দুইদিনের রিমান্ডে পাঠায় ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল হক।
- মামলায় বলা হয়:
নওশাবা নিজের মোবাইল হতে নিজের ফেসবুক আইডিতে গত ৪ আগস্ট বেলা ৪টার দিকে উত্তরার ১৩ নং সেক্টরের ৪ নং রোডের ২ নং বাড়ী হতে অত্যন্ত আবেদনময়ী কন্ঠে লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করে বলেন, আমি কাজী নওশাবা আহমেদ, আপনাদের জানাতে চাই, একটু আগে জিগাতলায় আমাদের ছোট ভাইদের একজনের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং দুই জনকে মেরে ফেলা হয়েছে। আপনারা সবাই একসাথে হোন। প্লিজ ওদেরকে প্রটেকশন দেন। বাচ্চাগুলো আনসেভ অবস্থায় আছে। প্লিজ আপনারা রাস্তায় নামেন। প্লিজ আপনারা রাস্তায় নামেন এবং ওদের প্রটেকশন দেন। এটা আমার রিকোয়েস্ট। আমি এদেশের একজন মানুষ, নাগরিক হিসেবে আপনাদের কাছে রিকোয়েস্ট করছি যে, জিগাতলায় একটু আগে একটি স্কুলে একটি ছেলের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং দুইজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। একটু আগে ওদেরকে অ্যাটাক করা হয়েছে। ছাত্রলীগের ছেলেরা সেটা করেছে। আমরা ৭১ এ পেরেছি, ৫২ তে পেরেছি এবারও পারবো। আমাদের দরকার নাই কাউকে। তার এই আহ্বান মুহুর্তেও মধ্যে দেশি বিদেশী সামাজিক ও ইলেকট্রনিক্স মাধ্যমে ভাইরাল হয় ফলে জনমনে আতঙ্ক ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা তার এই মিথ্যা প্রপাগান্ডার উৎস জানার জন্য ফোন করলে সে তার সপক্ষে সঠিক কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে ওই সময় জিগাতলায় ওই ধরণের কোন ঘটনা ঘটে নাই। সে ইচ্ছাকৃতভাবে ও পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এবং জনসাধারণের অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য এইরূপ মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ করে।
উল্লেখ্য, কাজী নওশাবা আহমেদ একাধারে নাটক, বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। অমিত আশরাফের পরিচালনায় ‘উধাও’ ছবিটি দিয়ে চলচ্চিত্রে আসেন নওশাবা। এরপর ‘ছুয়ে দিলে মন’ ছবিতেও দেখা যায় তাকে। ২০১৭ সালে তার অভিনীত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘ভুবন মাঝি’ এবং পুলিশ অ্যাকশন-থ্রিলারধর্মী ‘ঢাকা অ্যাটাক’ মুক্তি পায়। দুটি ছবিতেই দারুণ প্রশংসিত হয় নওশাবার অভিনয়। ছবি দুটোও পায় বাণিজ্যিক সফলতা।
আরও পড়ুন : ভোট পুনঃগণনার ফল প্রকাশ, বিজয়ীরা অপরিবর্তিত
সারাবাংলা/এআই/টিএস/পিএম
আরো দেখুন :
লুবনা মারিয়ামের সাক্ষাৎকার: নাচের মানুষ, কাছের মানুষ
https://www.youtube.com/watch?v=Vlz9HVc3_tY