Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শেখ হাসিনার গল্প আসছে চার প্রেক্ষাগৃহে


১৩ নভেম্বর ২০১৮ ১৮:০০

হাসিনা

স্টাফ ক‌রেসপ‌ন্ডেন্ট ।।

পিতা নেই, কিন্তু তার পাহাড় সমান স্বপ্ন আগলে রেখেছেন পরম যত্ন করে বছরের পর বছর। পরিবারের সবাইকে হারিয়ে একা এতগুলো দিন, সেই ভীষণ কষ্টের বোঝা একা বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। তারও একটা গল্প আছে- সেই গল্প অবলম্বনে দীর্ঘ পাঁচ বছরের পরিকল্পনা এবং ২ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল ‘শেখ হাসিনা- ডটার’স টেল’, শেখ হাসিনার ওপর নির্মিত ডকুমেন্টারি।


আরও পড়ুন :  নানা আয়োজনে হুমায়ূন স্মরণ


আগামী ১৬ নভেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে এই ডকুমেন্টারি। এর আগে ১৫ নভেম্বর স্টার সিনেপ্লেক্সে প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) নির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন শামস। মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট কনভেনশন হলে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সাব্বির বিন শামস আরও বলেন, ‘আমরা মূলত প্রকাশনার কাজ করে থাকি। আমরা ভাবছিলাম তরুণদের জন্য ডোকুমেন্টেশনাল কিংবা আর্কাইভের কোনও কাজ করতে পারি কিনা।’

তথ্যচিত্রটির পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখছি বাংলাদেশের উন্নয়নে নেতৃত্ব দিতে। এগুলা ইতিহাস তরুণরা ভুলে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাজগুলোতে টার্মস অব রেফারেন্স হচ্ছে বঙ্গবন্ধু যে কাজগুলো অসমাপ্ত রেখে গেছেন। তখন আমরা চিন্তা করলাম এরকম একটা কাজ করতে পারি কিনা। এটা ডকুমেন্টেশন হতে পারে কিংবা গ্রহণযোগ্য একটা কাজ আমরা করতে পারি কিনা। আমরা এপেলবক্সের সঙ্গে বসে কি ধরণের মানুষ আসবে, এটা কিভাবে সামনে আগাবে এগুলো সবই নির্ধারণ করি। পাঁচ বছর সময় লেগেছে একটা জায়গায় দাঁড় করাতে। আমাদের এই কাজে শেখ রেহানার সন্তান এবং সিআরআই’র ট্রাস্টি রাদোয়ান মুজিব সিদ্দিককে পেয়েছি। তিনি নিজে প্রতিটা জায়গায় গেছেন, সব সময় নিবিড় ভাবে সঙ্গে ছিলেন। আমাদের আরেকজন ট্রাস্টি নসরুল হামিদ বিপু সব বাধায় চেষ্টা করে গেছেন।’

বিজ্ঞাপন

সিআরাই’র ক্রিয়েটিভ কো অর্ডিনেটর শিবু কুমার শীল বলেন, ‘প্রথম যখন শুনছিলাম পিপলু ভাই এই কাজটি করছেন, তখন আমার কাছে অদ্ভুত লেগেছে। উনি কখনো সিনেমা বানানি, উনাকে কিভাবে এই কাজ দেয়া হলো। কিন্তু প্রথম রাফ কাট দেখার পর আমি চমকে গিয়েছি। মহাত্মা গান্ধীর পরে এ ধরনের ডকুমেন্টারি আর দেখা যায়নি।’

নির্মাতা পিপলু খান বলেন, ‘ওনারা আমার সম্পর্কে যেভাবে বড় করে বলছেন ব্যাপারটা সেরকম না। এটা একটা আকস্মিক ঘটনা ছিল। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে একজন রাজনীতিবিদ বাস করে। আমি যেদিন প্রথম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই কাজ নিয়ে কথা বলতে বসি, আমি ওনাকে বলেছি যে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলে কাজ করতে পারবো না। আমি আপনাকে আপা বলবো। কারণ তাকে নিয়ে কাজ করতে গেলে আমাকে তার কাছে যেতে হবে। কোনো প্ল্যানিং ছাড়াই আমি কাজ করতে বসি। ছবিটা আমাকে অনেক বদলে দিয়েছে। আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কিছু বানাইনি, আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যার গল্প তুলে ধরেছি।’

তথ্যচিত্রটির বিপণনের দায়িত্বে থাকা সৈয়দ গাওসুল আলম শাওন বলেন, ‘এটি একটি ডকু ফিকশন। ১৫ তারিখ সিনেপ্লেক্সে প্রিমিয়ার হবে। ১৬ তারিখে মুক্তি পাবে চারটি প্রেক্ষাগৃহে। স্টার সিনেপ্লেক্সে, ব্লক বাস্টার, মধুমিতা এবং চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনে। বঙ্গবন্ধুর কন্যার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তৈরি এটি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই তথ্যচিত্র তৈরি করা নয়। এটি ইতিহাসকে ধারণ করে রাখার একটা প্রচেষ্টা।’

সারাবাংলা/এমএমএইচ/পিএ


আরও পড়ুন :

কেমন দেখতে সাংবাদিক ‘প্রীতি’

‘মাই নেইবর টটোরো’ দেখবে চীন

১৫ বছর পর বড় পর্দায় অপি করিম


বিজ্ঞাপন

তথ্যচিত্র হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর