আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী
২০ নভেম্বর ২০১৮ ১৩:৫১
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত গুণী নির্মাতা, অভিনেতা ও পরিচালক আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার সব দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ (২০ নভেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলীকসহ আরও কয়েকজন। সেসময় প্রধানমন্ত্রী তাদের এই আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন : বিয়ের জন্য আলিয়ার ‘অপেক্ষা’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা শেষে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বের হলাম। তিনি বেশ অনেক্ষণ আমাদের সময় দিয়েছেন। আমাদের সব কথা শুনেছেন। চিকিৎসার জন্য সব দায়িত্ব তিনি নিজে নিয়েছেন। বাবার চিকিৎসার জন্য যা করা দরকার তাই করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যদি বিদেশে নিয়ে যেতে হয় সেটাও করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’
দোদুল আরও জানান, এরইমধ্যে তেজগাঁওয়ের ইমপালস হাসপাতালে চলে গেছেন একদল চিকিৎসক। সেই হাসপাতালের যে চিকিৎসকদের অধীনে আমজাদ হোসেন আছেন, তাদের সঙ্গে বিশেষজ্ঞ সেই চিকিৎসক দল কথা বলবেন এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এসব বিষয়েও হাসপাতালে একটি সংবাদ সম্মেলনও হতে পারে।
রোববার (১৮ নভেম্বর) সকালে ব্রেন স্ট্রোক করেন আমজাদ হোসেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সোমবার (১৯ নভেম্বর) গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড। কিৎসকরা জানান, তারা ধারণা করেছিলেন ব্রেনের অল্প জায়গা জুড়ে স্ট্রোক হয়েছে। কিন্তু দুইবার সিটি স্ক্যান করার পর জানা যায় যে ব্রেনের অনেক বড় জায়গা জুড়ে স্ট্রোক হয়েছে এবং সেখানে রক্ত চলাচল বন্ধ আছে। হাসপাতালে ভর্তির প্রথম দিন থেকেই আমজাদ হোসেনকে রাখা হয়েছে লাইফ সাপোর্টে।
বিশিষ্ট অভিনেতা, লেখক এবং চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আসেন। পরে তিনি চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন। তার পরিচালিত প্রথম ছবি আগুন নিয়ে খেলা (১৯৬৭)। পরে তিনি নয়নমনি (১৯৭৬), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), ভাত দে (১৯৮৪) দিয়ে প্রশংসিত হন।
গোলাপী এখন ট্রেনে ও ভাত দে চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কারেও ভূষিত করে।
এছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
সারাবাংলা/পিএ/পিএম
আরও পড়ুন : পুরস্কৃত হলো ‘সত্তা’ এবং ‘উইন্ড অব চেইঞ্জ’