জহির রায়হান: এক গেরিলা নির্মাতার অন্তর্ধান দিবস
৩০ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:১৭
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
লোকে বলে ‘মানুষ তার কর্মগুণে পৃথিবীর মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকেন’। জহির রায়হান যেন এই কথিত বাক্যের প্রতিভূ হয়ে এই ব-দ্বীপে জন্মেছিলেন। তিনি একজন চলচ্চিত্রকার হিসেবে সমধিক পরিচিত। তবে গল্পকার-ঔপন্যাসিক, সৃজনশীল মানুষ হিসেবেও খ্যাত।
১৯৩৫ সালের ১৯ আগস্ট জহির রায়হান জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলাতেই বড় দুই ভাই-বোনের কাছ থেকে রাজনৈতিক দীক্ষা পান জহির রায়হান। বড় ভাই শহীদুল্লাহ কায়সার এবং বড় বোন নাফিসা কবির দুজনই বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাদের কাছ থেকেই জহির রায়হানের বামপন্থী রাজনীতির হাতেখড়ি হয়। এরপর ১৯৫২ সালে অংশ নেন ভাষা আন্দোলনে। সে সময়ে ১৪৪ ধারা ভাঙার কারণে গ্রেপ্তারও হন।
আরও পড়ুন : বাংলা ফাইভ ব্যান্ডের মিউজিক ভিডিও ‘মনে করো’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র থাকাকালে সাহিত্য রচনা শুরু করেন তিনি। ১৯৫৬ সালের শেষের দিকে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন চলচ্চিত্রে। তারপর নিজেই চলচ্চিত্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৬১ সালে তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘কখনো আসেনি’ মুক্তি পায়।
এরপর তিনি ‘সোনার কাজল’, ‘সঙ্গম’, ‘বাহানা, ‘জীবন থেকে নেয়া’সহ বেশকিছু কালজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। পরিচালনার পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজনাও করেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র-শিল্পের জন্য তিনি দেখিয়ে গেছেন শিল্পোত্তীর্ণ হবার অনেক পথ।
দেশ স্বাধীন হওয়ার কিছুদিন পরেই ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকার মিরপুরে বড় ভাই শহীদুল্লাহ কায়সারকে খুঁজতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। ধারণা করা হয়, আলবদর বাহিনী কর্তৃক তিনি অপহৃত ও পরে নিহত হন।
সারাবাংলা/আরএসও/পিএ
আরও পড়ুন :
. মুম্বাই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের নতুন চেয়ারম্যান দীপিকা
. শুরু হচ্ছে পথনাটক উৎসব
. বনভোজনে শিল্পীদের আনন্দ উচ্ছ্বাস
. টেলিভিশনে দেখা যাবে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’
. ১৫ ঘন্টার বাংলা খেয়াল উৎসব