ওরা তিনজন ছাড়া হলিউডে কোনো তারকা নেই: কুয়েন্তিনো তারান্তিনো
২৫ মে ২০১৯ ১১:৩৫
কানের এবারের আসর খুব আগ্রহ নিয়ে প্রতীক্ষা করেছিল ছবিটির জন্য। যদিও সময়মতো তৈরি করা যায়নি ‘ওয়ানস আপন এ টাইম ইন হলিউড’। শেষ সময়ে জমা পরা ছবিটিকে ‘মাস্টারপিস’ রায় দিয়েছেন অনেক সমালোচক।
ছবিটির পরিচালক কুয়েন্তিনো তারান্তিনো। ২৫ বছর পর ফিরেছেন কান উৎসবে। এর আগে ১৯৯৪ সালে এই পরিচালকের ‘পাল্প ফিকশন’ ছবি পাম ডি’র জিতেছিল। ৫৬ বছর বয়সি পরিচালক কুয়েন্তিনো তারান্তিনো উৎসবে ফরাসি ম্যাগাজিন ক্রোয়েজেত্তে কে দিয়েছেন এক সাক্ষাতকার।
তারই চুম্বক অংশ সারাবাংলার জন্য কান থেকে পাঠালেন পার্থ সনজয়।
ক্রোয়েজেত্তে: কানে তোমার উপস্থিতি ছিল ভীষণ রোমাঞ্চের। যদি এই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিয়ে কোনো ছবি বানানো হয়, তার টাইটেল কি হবে?
তারান্তিনো: ‘এঙসাইটি’ (Anxiety)
ক্রোয়েজিত্তো: থিয়েরি ফ্রেমো ( কান উৎসবের পরিচালক) খুব ভয়ে ছিলেন তিনি হয়তো ছবিটি নির্বাচনের সুযোগ পাবেন না।
তারান্তিনো: হুম, থিয়েরি ভয়ে ছিল আমরা হয়তো সময়মতো ছবিটি শেষ করতে পারবো না। কিন্তু আমি বলতে চাই, আমরা সব চাপ জয় করে ছবিটি কানে প্রিমিয়ার করতে পেরেছি।
ক্রোয়েজিত্তো: ব্র্যাড পিট আর লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও কে কেন তুমি বেছে নিলে ছবিতে?
তারান্তিনো: জুলিয়া রবার্টস বাদে হলিউডে ওদের ছাড়া আর কাউকে আমি তারকা হিসেবে দেখি না। হলিউডে তুমি অনেক অনেক সেলিব্রেটি দেখবে। কিন্তু সত্যিকারের চলচ্চিত্র তারকা হাতে গোনা। এটা আমার জন্য সুযোগ ব্র্যাড ও ক্যাপ্রিওকে নিয়ে কাজ করতে পারা।
ক্রোয়েজিত্তো: ‘ওয়ানস আপন এ টাইম ইন হলিউড ‘ মুভিতে তুমি অভিনেত্রী মারগোট রবিকে শ্যারন টেইটের ভূমিকায় অভিনয় করিয়েছো। তুমি কি রোমান পোলানস্কিকে এটি জানিয়েছ?
তারান্তিনো: যখন আমি ছবিটির চিত্রনাট্য শেষ করি, আমার সুযোগ হয়নি রোমানের সাথে সাক্ষাতের। কিন্তু যখন সে বিষয়টা জানলো তখন সে আমাদের এক মিউচুয়াল ফ্রেন্ডের সাথে যোগাযোগ করলো। যে আমাকে বললো আমি যেন আরো তথ্য জোগার করি। আমি তখন ঐ বন্ধুকে পুরো স্ক্রিপ্ট টা পড়াই। যাতে সে রোমানকে সহজে বিষয়টা জানাতে পারে।
আরও পড়ুন : নজরুল ও আমি যতটা কাছের, ঠিক ততটাই দূরের: ফাতেমা তুজ জোহরা
ক্রোয়েজিত্তো: ছবির গল্পে দেখানো ম্যানসন পরিবারের হত্যাকাণ্ড যখন ঘটেছিলো, তখন তোমার বয়স মাত্র ছয়। তুমি কি ঘটনাটি মনে করতে পার?
তারান্তিনো: আমি লস এঞ্জেলেসের ঐ সময়টার অনেক কিছুই মনে করতে পারি। ১৯৬৯ সালে আমি লস এঞ্জেলসে বসবাস করেছি। আমি খুব ভালো করে মনে করতে পারি তখনকার টিভিতে দেখানো কার্টুন আর শোগুলো। এমনকি ‘হরর হাউসে’র মতো মুভিও। এমনকি খুব শুনতাম ‘নাইনটি থ্রি কেএইচজে রেডিও’। এই ছবিটা হলিউডের জন্য আমার ভালোবাসা মেশানো চিঠি। এবং আমার ছোটবেলার সবকিছু।
ক্রোয়েজিত্তো: এখন মনে হচ্ছে, তুমি পৃথিবীর সুখী মানুষ। কারণ তুমি মুভি রিলিজ করেছ এবং তোমার ব্যাক্তিগত জীবনে তুমি মাত্রই দানিয়েল্লা পিককে তোমার জীবন সঙ্গী করেছ।
তারান্তিনো: হুম, আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। কয়েক বছর আগে আমার দানিয়েল্লার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। যে একজন মডেল এবং গায়িকা। ইসরায়েলের এই মেয়েটির সাথে দুই বছর লিভ টুগেদার ছিল। আমরা কেউ আগে বিয়ে করিনি। তার সাথে আমি সত্যিকারের আনন্দময় জীবন কাটাচ্ছি। মানুষ হিসেবে সে দারুন। যখন আমি ছবিটি তৈরি করছিলাম তখন আমাদের মধ্যকার সম্পর্কটা ছিল সিরিয়াস। আমি জানি না, আমি কোন কিছু হারিয়েছি কী না। কিন্ত তার মতো একজন জীবনসঙ্গীকে পাওয়া আমার জীবনের জন্য বড় কিছু।
সারাবাংলা/পিএম
আরও পড়ুন : ‘টার্মিনেটর: ডার্ক ফেট’-এ যুদ্ধ আরও কঠিন
কান কুয়েন্তিনো তারান্তিনো পার্থ সনজয় ব্রাড পিট লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও হলিউড