Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

টিকিটের মূল্য এবং সিনেমা হল নিয়ে কাজ শুরু করবে প্রযোজক সমিতি


৩০ জুলাই ২০১৯ ১৭:০৭

বিভিন্ন সিনেমা হলের টিকিটের মূল্য বিভিন্ন রকম। রাজধানীর নামকরা এবং বড় হলগুলোর টিকিটের মূল্য কিছুটা বেশি। তবে টিকিটের মূল্য সবচেয়ে বেশি সিনেপ্লেক্সগুলোতে। হল ব্যবস্থাপনা, এসি, ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত থাকে এসব টিকিটের মূল্যে।

ধরা যাক কোনো সিনেমা হলের টিকিটের মূল্য ১২০ থেকে ২৫০ টাকা। নিয়ম অনুযায়ী টিকিটের এই মূল্য থেকে কিছু টাকা পাওয়ার কথা হলে চলা ছবির প্রযোজকের। প্রযোজক কিছু টাকা পানও। কিন্তু ১২০ থেকে ২৫০ টাকার সেই টিকিট থেকে প্রযোজক পান মাত্র ১২ থেকে ২৫ টাকা। অধিকাংশ টাকাই থেকে যায় হল মালিকের কাছে।

বিজ্ঞাপন

এই বৈষম্য নিয়ে অনেকদিন থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছেন প্রযোজকরা। কিন্তু প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির কোনো কমিটি না থাকায় জোর দিয়ে কিছুই বলতে পারছিলেন না প্রযোজকরা। সম্প্রতি নতুন কমিটি আসায় বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করছেন তারা।


আরও পড়ুন :  শাফিন ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে মাইলসের ১০ কনসার্ট


প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সভাপতি পদে নির্বাচিত খোরশেদ আলম খসরু সারাবাংলাকে বলেন, ‘একটি সিনেমা হলের টিকিটের দাম ৪০০ টাকা, সেখান থেকে প্রযোজক পাচ্ছেন ৩৭ টাকা। এই বৈষম্য কমাতে হবে। আমাদের প্রথমদিকের কর্মপরিকল্পনায় এই বিষয়গুলোই রয়েছে।’

আরও একটি বড় সমস্যা হলো প্রেক্ষাগৃহে প্রক্ষেপন ব্যবস্থা। অর্থাৎ যে প্রক্রিয়ায় সিনেমা দেখা যায়, এর সঙ্গে সাউন্ডের বিষয়টিও জরুরী। একটি হলে অবশ্যই প্রেক্ষেপন যন্ত্র (প্রজেক্টর), শব্দযন্ত্র, পর্দা, সিট, ফ্যান বা এসিসহ বিভিন্ন কিছু থাকতে হয়। এসব সুবিধা দিতে হয় একজন হল মালিকের।

কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে প্রেক্ষেপন যন্ত্র (প্রজেক্টর), শব্দযন্ত্র, পর্দাসহ কিছু সুবিধা আর হল মালিক দিচ্ছেন না। এই সুবিধা দিচ্ছেন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান এবং এই সুবিধার জন্য টাকা দিতে হচ্ছে প্রযোজককে। এতে করে প্রযোজকের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। অথচ এই সুবিধাগুলো হল মালিক দিলে প্রযোজকের খরচ বেড়ে যেত না।

বিজ্ঞাপন

খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘একজন হল মালিকের প্রজেক্টর, ভালো সাউন্ড সিস্টেম, ভালো পর্দা থাকতে হবে। এসবের জন্য প্রযোজকদের দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে টাকা দিতে না হয়, সেই কাজটি আমরা করতে চাই।’

প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির কাজ হবে চলচ্চিত্রের জন্য সুন্দর পরিবেশ তৈরি করা এবং উন্নত পরিবেশ তৈরিতে সরকারকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা। খসরু জানান, সরকার উপজেলাগুলোতে বিনোদন কেন্দ্র করার কথা ভাবছে, সেখানে যেন সিনেপ্লেক্সের মতো প্রেক্ষাগৃহ থাকে এবং তথ্যকেন্দ্রগুলোতেও যেন প্রেক্ষাগৃহ থাকে সে ব্যাপারে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করবে সমিতি।

প্রেক্ষাগৃহে ই-টিকিটিং নিয়ে সরকারের উৎসাহ রয়েছে। এটি যেন বাস্তবায়ন হয় সেই ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হওয়ার কথাও জানান খোরশেদ আলম খসরু।

নব নির্বাচিত কমিটি শিগগিরই শপথ নেবে। সমিতির সদস্যদের ইচ্ছা শিল্প, বাণিজ্য, সংস্কৃতি এবং তথ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে শপথ অনুষ্ঠান। এই চার মন্ত্রীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে কিছুটা সময় লাগবে।

২৭ জুলাই প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির প্রথম ধাপের নির্বাচনে ১৩৪ জন ভোটার ১৯ জনকে নির্বাচিত করেন। ২৯ জুলাই ঐ ১৯ জনের ভোটে নির্বাচিত হয় নতুন কমিটি। যেখানে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন খোরশেদ আলম খসরু। নতুন কমিটি আগামী ২০১৯-২০২১ সাল পর্যন্ত সিনেমার মাতৃসম সংগঠনটিকে নেতৃত্ব দেবে।


আরও পড়ুন :  

.   ‘অবতার’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন গোবিন্দ!

.   মুখ খুললেন আনুশকা

.   নতুন নায়িকা নিয়ে শাকিব খানের ‘আগুন’ মিশন

.   শকুন্তলা নাট্যপ্রযোজনা: একটি নান্দনিক শিল্পপ্রয়াস

.   চলচ্চিত্র অনুদান প্রক্রিয়ায় সংস্কার প্রস্তাব


টিকিট প্রযোজক সমিত সিনেমা হল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর