ভেজাল সচেতনতায় ‘চিনিবাবা’
৫ আগস্ট ২০১৯ ১৩:৩১
দ্রব্যমূল্যে ভেজাল মেশানো বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু নয়। সারাদেশ যেন ভেজালে সয়লাব। জিনিসপত্রে ভেজাল মেশানোর বিষয়টি সাধারণ মানুষ জানলেও তাদের করার কিছু থাকে না। বাধ্য হয়েও অনেক সময় ভেজাল পণ্য কেনেন তারা। যদিও সরকার ভেজাল রোধে সরকার অভিযান চালাচ্ছে নিয়মিত।
এবার এই ভেজাল নিয়ে ‘চিনিবাবা’ টেলিছবি লিখলেন ঢাকা পশ্চিমের ভ্যাট কমিশনার ড. মইনুল খান। এটি পরিচালনা করেছেন সরদার রোকন। ঢাকা ও পূবাইলের বিভিন্ন জায়গায় টেলিছবিটির দৃশ্যধারণ হয়েছে।
আরও পড়ুন : কবিগুরুর প্রয়াণ দিবসে অণিমা রায়ের মিউজিক ভিডিও
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, গ্রামের বেকার ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী পিকলু বিশ্বাস বন্ধুর পরামর্শে টাকার পেছনে ছোটে। নিজ এলাকায় ‘চিনিবাবা’ নামে মিষ্টির দোকান খুলে বসে। পিকলু অল্প দিনে বেশি টাকা আয়ের আশায় মিষ্টিতে ভেজালের আশ্রয় নেয়। ব্যবহার করে কৃত্রিম ও নিষিদ্ধ ঘনচিনি। আর এই ভেজালজনিত নানা ব্যধি সারা গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। শিশুরা এতে বেশি আক্রান্ত হয়। এর উপসর্গ থেকে পিকলুর একমাত্র আদরের মেয়ে টুম্পা মুক্তি পায়নি। চরম অনুশোচনা ও আত্মউপলব্ধি তাকে স্পর্শ করে। শুরু হয় সংকট এবং তা ধীরে ধীরে দানা বাঁধে। এভাবে গল্প এগিয়ে যায়।
নাটকটি সম্পর্কে ড. মইনুল খান বলেন, ভেজাল আমাদের প্রতিটি জীবন ও পরিবারকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। দ্রুত টাকা বানানোর নেশায় কেউ কেউ এই অনৈতিক ও সমাজবিরাধী কাজটিতে লিপ্ত হচ্ছেন। আবার কোন নির্মম বাস্তবতায় তাদেরকেও এই ব্যাধি আক্রান্ত করছে।এমন একটা রূঢ় অভিজ্ঞতা নিয়ে জীবনধর্মী গল্প উপস্থাপন করা হয়েছে এই টেলিছবিতে।
টেলিছবিতে অভিনয় করেছেন আনিসুর রহমান মিলন, অপর্ণা ঘোষ, রহমত আলী, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, আজিজুল হাকিমসহ আরও অনেকে। ঈদের তৃতীয় দিন বিকেল ৪.৩০ মিনিটে চ্যানেল আইতে টেলিছবিটি প্রচারিত হবে।
আরও পড়ুন : ‘মানি হায়েস্ট’ সিরিজকে সিনেমা বানাবেন শাহরুখ খান