ঋতু আসে, কিন্তু ঋতু আসেন না
৩১ আগস্ট ২০১৯ ১৭:৪১
আগস্টের শেষ দিনটা মন খারাপের। বিশেষ করে সিনেমাপ্রেমীরা গত ছয় বছর ধরে এই দিনে বেদনার নীল সাগরে হাবুডুবু খান। চোখে জল আর বেদনার্ত কাঁপা কণ্ঠে কেউ কেউ তো আফসোস করে বলেই বসেন, বড্ড দ্রুত চলে গেলেন…!
সেই আফসোসের নাম ঋতুপর্ণ ঘোষ। বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি পরিচালক। প্রত্যেক অভিনয়শিল্পীরই কাঙিক্ষত পরিচালক ছিলেন তিনি।
আজ (৩১ আগস্ট) এই জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালকের জন্মদিন। বেঁচে থাকলে তার বয়স হত ৫৬ বছর। মানুষের গড় আয়ুর হিসেবে তার এ বয়সে চলে যাওয়া মেনে নেয়া কষ্টকর বটে। তবু মেনে নিতে হয়। প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম মেনে না নিয়ে উপায় নেই মানবকুলের।
আরও পড়ুন : ‘সাহো’র বিরুদ্ধে নকলের অভিযোগ
বছরের ছয় ঋতু ঘুরে ফিরে আসে, কিন্তু ক্যামেরার পেছনে দাঁড়িয়ে চরিত্র নিয়ে খেলা করা ঋতু ফিরে আসেন না। ফলে সৃষ্টি হয়েছে শূণ্যতা। সেই শূণ্যতা আজও অনুভূত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
জীবদ্দশায় ঋতুপর্ণ ২০টি সিনেমা নির্মাণ করেছেন। সেগুলো হলো- ‘হীরের আংটি’, ‘১৯ এপ্রিল’, ‘দহন’, ‘বাড়িওয়ালি’, ‘অসুখ’, ‘উৎসব’, ‘শুভ মহরত’, ‘চোখের বালি’, ‘রেইনকোট’, ‘অন্তরমহল’, ‘দোসর’, ‘দ্য লাস্ট লিয়ার’, ‘খেলা’, ‘সব চরিত্র কাল্পনিক’, ‘আবহমান’, ‘নৌকাডুবি’, ‘চিত্রাঙ্গদা’ ও ‘সত্যান্বেষী’।
ঋতুপর্ণ ‘আরেকটি প্রেমের গল্প’, ‘মেমরিজ ইন মার্চ’ ও ‘চিত্রাঙ্গদা’ ছবিতে অভিনয় করেছেন। এছাড়া চারটি ছবিতে গান ও দুটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন।
তার ছবিতে বেশি দেখা গেছে প্রসেনজিৎ, যীশু ও রাইমা সেনকে। তিনি প্রথম ভারতীয় পরিচালক, যার ছবিতে বচ্চন পরিবারের চার জনই অভিনয় করেছে। এছাড়া তার ছবিতে রাখী, নন্দিতা দাস, দীপ্তি নাভাল, কিরণ খের, মনীষা, অজয়, অর্জুন, বিপাশা বসুর মতো জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দেখা গেছে।
ঋতুপর্ণ ২০১৩ সালের ৩০ মে মৃত্যুবরণ করেন। নিজের লিঙ্গ নিয়ে তিনি সংশয়ে ছিলেন সবসময়। লিঙ্গ সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে অপারেশনের মাধ্যমে নিজের লিঙ্গ পরির্তনের চেষ্টাও করেছিলেন। জটিল অস্ত্রপাচার এবং মাত্রাতিরিক্ত ঔষধ সেবনের ফলেই মৃত্যু বরণ করেন এই নির্মাতা।
আরও পড়ুন :
. তিন গুনী পেলেন ‘শহীদ আলতাফ মাহমুদ স্মৃতি পদক’
. বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ভারতীয় ম্যারাডোনাকে নিয়ে ওয়েব ধারাবাহিক