সঙ্গীতশিল্পীদের কাছে গীতিকার-সুরকারদের পাঁচ দাবি
২৫ জুন ২০২০ ১৮:০৮
সম্মানী ছাড়া কোন প্রকার টিভি, অনলাইন কিংবা স্টেজ শো করবেন না বলে দেশের শতাধিক সঙ্গীতশিল্পী বিবৃতি দিয়েছেন। শিল্পীরা এটাকে তাদের বাঁচার লড়াই এবং অধিকার আদায়ের প্রদক্ষেপ হিসেবে বলছেন। তাদের মতে যে ফ্রি কালচার চলছে, সেভাবে আর চলা সম্ভব নয়।
এ বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়ে শিল্পী সমাজের কাছে কিছু দাবী তুলে ধরেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী গীতিকার জুলফিকার রাসেল। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ দাবিগুলো জানান। তার দাবির সাথে একমত পোষণ করেছেন গীতিকার ও সুরকাররা
তার এ দাবিগুলোর সাথে একমত পোষণ করেছেন গীতিকবি ও সংগীতশিল্পী প্রীতম আহমেদ, শফিক তুহিন, মিলন খান, শেখ রানা, রবিউল ইসলাম জীবন, সোমেশ্বর অলি, সাকি আহমেদ, লুৎফর হাসান, সাগর চৌধুরী, এ মিজান, ফয়সাল রাব্বিকীন, তারেক আনন্দ, ওমর ফারুক বিশাল প্রমুখ।
জুলফিকার রাসেলের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো,
সাধুবাদ জানাই, শতাধিক কণ্ঠশিল্পী ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁরা সম্মানি ছাড়া কোনো ধরনের শো করবেন না! আমি আশা করি, তাঁরা এও ঘোষণা দেবেন-
এক. এখন থেকে সম্মানির বিনিময়ে তাঁরা যেসব গান পারফর্ম করবেন তার একটা ভাগ গীতিকবি, আরেকভাগ সুরস্রষ্টা এবং আরেকভাগ সহশিল্পীদের জন্যেও রাখবেন! শিল্পীরা নিজেরাও জানেন গানটা হাওয়া থেকে ভেসে আসেনি!
দুই. এখন থেকে যথাযথ সম্মানি গ্রহণ না করে কোনো গান কোম্পানিকে দেবেন না! যথাযথ সম্মানি না দিয়ে কোনো লিরিক বা সুর ব্যবহার করবেন না! (অনেক নতুন গীতিকবি বা সুরস্রষ্টা একটি গান প্রকাশের আশায় আপনার কাছে যাবেন, এটাই স্বাভাবিক! কিন্তু নৈতিক মূল্যবোধ থেকে আপনারা যথাযথ সম্মানি প্রদান করবেন! কেননা ভবিষ্যতে এই গান আপনি বিভিন্ন শোতে সম্মানির বিনিময়ে পারফর্ম করবেন!)
তিন. গান গাওয়ার সময় নিজের গান বলে চালিয়ে দেবেন না! আপনি কণ্ঠ দিয়েছেন! গানটা লিখেছেন এবং সুর করেছেন হয়তো অন্য আরেকজন! দয়া করে তাঁদের নাম সম্মানের সঙ্গে উল্লেখ করবেন!
চার. যন্ত্রশিল্পীদের কথাও ভাববেন! তাঁরাও যেন যথাযথ সম্মানি পেতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করবেন! যেখানে এটা সম্ভব হবে না, সেই শো করবেন না! এই নীতিতে অটল থাকবেন!
পাঁচ. এখন যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেটা সারাজীবন মনে রাখবেন!