‘কপিরাইট সুরক্ষা’র নামে জেল-জরিমানার প্রতিবাদ জানালো তিন সংগঠন
৬ আগস্ট ২০২০ ১৫:২১
কপিরাইট কী জিনিস, তা এদেশের শিল্প সংস্কৃতির লোকজনই জানেন না বা জানলেও খুব একটা মানেন না। তবে বিগত কয়েক বছর যাবত অনেকেই এ নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। বিশেষ করে সঙ্গীতাঙ্গনের মানুষেরা। এ নিয়ে সম্প্রতি বেশকিছু বিচার-সালিশ হয়েছে। এমনকি কিছু কিছু কপিরাইট ইস্যু আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। ফলে অনেকে নানা ধরণের জরিমানা, এমনকি জেলের সম্মুখীন হয়েছেন। এসবেরই প্রতিবাদ জানালো তিন সংগঠন—বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন (বামবা), মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজ ওনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইবি) ও বাংলাদেশ ফিল্ম প্রোডিউসার্স অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউটার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফপিডিএ)।
সংগঠনগুলো কপিরাইট সুরক্ষার নামে সম্প্রতি বিভিন্ন সঙ্গীতশিল্পী, সঙ্গীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও মোবাইল কনটেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের হয়রানির প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। সেখানে তারা ওলোরা আফরিন নামক আইনজীবী ও তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেন।
সম্মেলনে বলা হয়, ওলোরা আফরিনের প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সিং অ্যান্ড কালেক্টিং সোসাইটি ফর সিনেমাটোগ্রাফ ফিল্মের (এলসিএসসিএফ) মামলায় একজন ব্যান্ড তারকাকে জেলে যেতে হয়েছে।
বামবা সভাপতি হামিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের অনেকেরই রয়েছে দীর্ঘ ক্যারিয়ার। আমাদের মাইলসেরই ৪০ বছর হলো। অথচ হঠাৎ করে কিছু বহিরাগতদের কারণে আমরা হয়রানি আর জেল-জরিমানার শিকার হচ্ছি।‘
সম্মেলনে জানানো হয়, এলসিএসসিএফ কপিরাইট ম্যানেজমেন্ট অর্গানাইজেশনের (সিএমও) দায়িত্ব পেয়েছে। অথচ প্রতিষ্ঠানটিতে সিনেমা সংশ্লিষ্ট কেউ নেই। দাবি করা হয়, ওলোরা আফরিনের দেওয়া ‘অবৈধ, অনৈতিক ও অস্বাস্থ্যকর’ প্রস্তাবে রাজি না হলে তার বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠান আইনজীবী। যার শিকার হন ইউটিউব কন্টেন্টের বাংলাদেশ অংশের দেখভাল করা কাইনেটিক নেটওয়ার্কের জুয়েল মোর্শেদ, নাফিস, জামশেদ ও সানজি। এমনকি কারাগারে যেতে হয় জামশেদকে।
অনুষ্ঠানে ওলোরার ফোনের কল রেকর্ড শুনানো হয়, যেখানে তিনি কথায় কথায় মামলার হুমকি দিচ্ছেন।
এমআইবি কপিরাইট সুরক্ষা. টপ নিউজ বামবা বিএফপিডিএ সংবাদ সম্মেলন