মাদক নিয়ে ওয়েব সিরিজ ‘গুটি’
৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:২০
নতুন বছরের প্রথমেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘গুটি’। শঙ্খ দাশগুপ্ত পরিচালিত সাত পর্বের এই সিরিজটি আসছে আগামী ৫ জানুয়ারি।
এই সিরিজে অভিনয় করেছেন আজমেরী হক বাঁধন, শাহরিয়ার নাজিম জয়, শরীফ সিরাজ, মৌসুমী হামিদ, নাসির উদ্দিন খান, আরিয়া আরিত্রা, টুনটুনি সোবহান, আরফান মৃধা শিবলু, মাহমুদুল আলমসহ আরও অনেকে।
বাঁধন এখানে সুলতানা নামের একজন মাদক পাচারকারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সুলতানা কয়েকবছর ধরে স্থানীয় মাদক চোরাচালানকারী নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত। এই সময়ের মধ্যে সে প্রচুর অর্থ ও সম্পদ করেছে কিন্তু বিনিময়ে হারাতে হয়েছে কাছের মানুষ, সম্পর্ক, বিশ্বাস ও আশা। এই কাজে পালানোর কোনো পথ নেই। তবে সুলতানা তার মেয়ের জন্য সুন্দর এক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখে। টান টান উত্তেজনা নিয়ে চলতে থাকে পুরোটা সিরিজ।
সিরিজে মূল চরিত্রের অভিনেতা আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘গুটি -র গল্পটা পরিচালক শঙ্খ খুব দুর্দান্তভাবে সাজিয়েছেন। একদম ভিন্ন প্লট, ভিন্ন চরিত্র, ভিন্ন ধরনের একটা গল্প তিনি ফুটায় তুলতে চেয়েছেন। এখানে আমি সুলতানা নামে একজন ড্রাগ ডিলারের চরিত্রে কাজ করেছি। চরিত্রটা নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আলাপ করেছি। আমি এই চরিত্রটা অনেকদিন ধরে নিজের মধ্যে ধারণ করছি। সিরিজে কাস্টিংগুলো কিন্তু খুব ইন্টারেস্টিং।’
দর্শকদের উদ্দেশ্যে বাঁধন বলেন, ‘বাংলাদেশে ফিমেল লিডের কাজ চলে না, এই কথাটা আসলে শুনতে চাই না। আমি বিশ্বাস করি আগামী ১-২ বছরের মধ্যে এই ধারণার পরিবর্তন হবে। আমরা আমাদের কাজ দিয়েই এই চিন্তার পরিবর্তন করতে পারবো। দর্শককেও নতুন কিছু দিতে পারবো। এখন শুধু অপেক্ষা গুটি মুক্তির।’
সেলিম চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহরিয়ার নাজিম জয়। কাজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে চরিত্র করেছি সেই মাপের অভিনেতা আমি কিনা সেটা দর্শকরা তাদের মন্তব্যে জানাবেন। আমি সেই রায় পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। তবে গল্প ও নির্মাণশলী অনেক বাস্তবধর্মী হয়েছে। গুটি একেবারে রিয়েলিস্টিক কাজ। গল্পের ভিতরের গভীর কিছু বিষয় উঠে আসবে। এখন শুধু পরীক্ষার ফলাফলের অপেক্ষায়।’
ধীরে ধীরে ওটিটিতে নিয়মিত হচ্ছে অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ। গুটি নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সিরিজে আমার চরিত্রে বেশ কয়েকটা ধাপ আছে। লিপি চরিত্রটা নিজের মধ্যেই একটা মানসিক দ্বন্দ নিয়ে চলতে থাকে। এখন লিপিকে দর্শক কতটা বুঝতে পারবে এটাই জানার অপেক্ষা।’
‘গুটি’-তে অভিনয় নিয়ে নাসির উদ্দিন খান বলেন,’ শঙ্খের সঙ্গে এটা আমার তৃতীয় কাজ। তাই তার টিমের সঙ্গে একটা অন্যরকম বন্ধুত্বের সম্পর্ক আছে আমার। পরিচালক আমাকে যথেষ্ট সময় দেন, কাজ করার স্পেস দেয়। এতে ক্যারেক্টার কঠিন হলেও সেটি ফুটিয়ে তোলা সহজ হয়।
‘গুটির কাজ করতে দুটো বিষয় চ্যালেঞ্জিং ছিল। একটা হলো ভাষা। ঢাকার ভাষা শিখতে ১৫ দিন সময় দিতে হয়েছে। যেখানে অভিনেতা সাহেদ আলী সুজনের অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। আরেকটা হলো সিএনজি চালানো। একজন সিএনজি চালক আমাকে সিএনজি চালানো শিখিয়েছেন। কো-অ্যাক্টরের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বাঁধন। তিনি বেশ দারুণ। আরও কিছু সহঅভিনেতা ছিলেন সবাই দারুণ। তাই কাজ করতে কষ্ট হয়নি। সব মিলিয়ে গুটি একটা ভালো প্রোডাকশন হবে বলে ধারণা করছি।’
পরিচালক শঙ্খ দাসগুপ্ত বলেন, ‘চরকির সাথে এটাই আমার প্রথম কাজ। কাজটার জন্য খুব উন্মুখ হয়ে ছিলাম। চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে আমাদের সব শ্যুটিং হয়েছে। অভিনেতাসহ পুরো দলটা ছিল খুব দুর্দান্ত। এখন টেনশনে আছি এটা ভেবে যে দর্শকদের কেমন লাগবে।’
সারাবাংলা/এজেডএস