Saturday 07 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নদীর ওপারে ঘন কুয়াশা


২২ মে ২০১৮ ১৯:২৭ | আপডেট: ২৩ মে ২০১৮ ১২:২৯
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

নদীর ওপারে কুয়াশার হালকা চাদর। আকাশে খেলনা বেলুনের মতো ভাসতে থাকা মেঘ। ছোট পাহাড় সারির পা ছুয়ে বয়ে চলা নদী। চোখ বন্ধ করে এঁকে ফেলা যায় এমন সুন্দরের সামনে দাঁড়িয়েও মন খারাপ বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার। কারণ তিনি জানেন, স্বর্গের মতো সুন্দর এই জায়গাটিতেই কয়েক মাস আগে সংঘটিত হয়েছে ইতিহাসের ঘৃণ্যতম এক গণহত্যা।


আরও পড়ুন : রোহিঙ্গা শিশুদের নিয়ে প্রিয়াঙ্কার আহ্বান


ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির দেখতে এসেছেন প্রিয়াঙ্কা। বিশেষ করে রোহিঙ্গা শিশুদের দেখতে আসাই তার সফরের মূল উদ্দেশ্য। গত দুদিন ধরে এখানেই শরনার্থী শিশুদের সঙ্গে গল্প করে, হাসি আনন্দ করে কাটাচ্ছেন সময়। এদের জীবনের গল্প ছুঁয়ে যাচ্ছে এই অভিনেত্রীর হৃদয়। এদের সঙ্গে ছবি তুলছেন, পরে আবার সেই ছবি শেয়ার করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আজও শেয়ার করেছেন তেমন তিনটি ছবি। ছবির সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন একটি হৃদয়স্পর্শী বার্তাও।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন : শরণার্থী শিবিরে প্রিয়াঙ্কার দ্বিতীয় দিন


প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ‘নদীর ওপারে মিয়ানমার। ওটা এখন শূণ্য। কিন্তু কয়েক মাস আগেই এই এলাকাটা পালিয়ে আসা হাজার হাজার রোহিঙ্গাতে পরিপূর্ণ ছিলো। জায়গাটা সাবরাং নামে পরিচিত। শরনার্থীদের এই যাত্রা ছিলো কঠিন আর বিপদ-শংকুল। বেশির ভাগ মানুষই পায়ে হেঁটে এখানে এসেছে, পাহাড়ের উপর দিয়ে তাদেরকে সারাদিন হাঁটতে হয়েছে। পার হতে হয়েছে নাফ নদী, সমুদ্র পাড়ি দিতে হয়েছে ছোট নৌকায়। তখন এদের বেশির ভাগই ছিলো আহত, গর্ভবতী এবং বয়োঃবৃদ্ধ।’


আরও পড়ুন : ক্যাম্প ঘুরে রোহিঙ্গা শিশুদের খবর নিলেন প্রিয়াঙ্কা


প্রিয়াঙ্কা আরও লেখেন, ‘এদের দূর্যোগ এখানেই শেষ হয়ে যায়নি। বাংলাদেশে প্রবেশের পর এরা সাহায্যকর্মীদের জন্য অপেক্ষাও করতে পারছিল না! কোন খাদ্য ও পানীয় ছাড়াই খোলা প্রান্তরে তাদেরকে ঘুমোতে হয়েছে। এই দুঃসময় অনেক রোহিঙ্গা শিশুকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু করে দিয়েছে।’


আরও পড়ুন : চলে গেলেন অভিনেত্রী তাজিন আহমেদ


সবশেষে তিনি জুড়ে দেন একটি সাহায্যবার্তাও। প্রিয়াঙ্কা লেখেন, ‘তুমি সাহায্য করলে, হয়তো এই শিশুদের ভবিষ্যত পাল্টে যাবে। কারণ এদের ভবিষ্যত এখন শূন্যতায় ছেয়ে আছে। পুরো বিশ্বের এই শিশুদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।’

সারাবাংলা/টিএস/পিএম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর