ভাবুন তো— পাসপোর্ট হাতে ভ্রমণ করছে এক লোমশ ভদ্রলোক, কুকুর ভদ্রলোক! শুনতে কার্টুনের গল্প মনে হলেও পৃথিবীর কিছু দেশে আসলেই এমন মজার ঘটনা ঘটেছে। কুকুরও নাগরিকত্ব পেয়েছে, এমনকি সম্মানিত নাগরিকও হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে কুকুরের প্রতি মানুষের মমতা নতুন কিছু নয়। তবে ভালোবাসা যখন একটু বেশি হয়ে যায়, তখন চারপেয়ে বন্ধুরা পেয়ে যায় মানুষের মর্যাদা।
ইতালি: কুকুর মেয়র!
ইতালির এক ছোট্ট গ্রামে কয়েক বছর আগে নির্বাচনে মানুষের বদলে জয়ী হয়েছিল এক কুকুর। গ্রামের লোকজন মজার ছলে তাকে প্রতীকীভাবে ‘মেয়র’ বানিয়ে দিল। এরপর থেকে কুকুরটি পুরো গ্রামের ‘সম্মানিত নাগরিক’ হিসেবে পরিচিত হয়। যদিও অফিসের চেয়ার গরম করেনি, কিন্তু ভোঁ ভোঁ ডাক দিয়েই গ্রামবাসীর মন জিতে নিয়েছিল।
মেক্সিকো: পাসপোর্টধারী কুকুর
মেক্সিকোর এক শহরে আশ্রয়হীন কুকুরদের নিয়ে অনন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কয়েকটি কুকুরকে প্রতীকী পাসপোর্ট ও নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। এর লক্ষ্য ছিল—’মানুষের মতো তারাও নিরাপত্তা, ভালোবাসা ও অধিকার পাওয়ার যোগ্য।’ এ আয়োজন দেখে সারা বিশ্বে হাসি-খুশি আলোচনার ঝড় বয়ে যায়।
ভারত: নাগরিক কুকুর ‘ভূবন’
ভারতের চণ্ডীগড়ে ‘ভূবন’ নামের এক কুকুরকে দেয়া হয়েছিল বিশেষ নাগরিকত্ব। কুকুরটি ছিল আশেপাশের সবার প্রিয়। সমাজের লোকজন মজার ছলে তাকে ভোটার তালিকাতেও রাখার উদ্যোগ নিয়েছিল।
কেন এমন করা হয়?
আসলে এসব উদ্যোগ প্রতীকী। প্রাণীদের প্রতি সহমর্মিতা জাগানো, অবহেলিত পশুপাখির জন্য দায়িত্বশীলতা তৈরি করা—এই হলো মূল উদ্দেশ্য। মানুষ যেন কুকুরকে শুধু পোষা প্রাণী নয়, বরং পরিবারের সদস্যের মতো মনে করে।
শেষ কথা
তাহলে কি ভবিষ্যতে বিমানবন্দরে কুকুরকে পাসপোর্ট দেখিয়ে যেতে দেখা যাবে? হয়তো না। তবে এ গল্পগুলো প্রমাণ করে, বিশ্বজুড়ে মানুষ কুকুরকে কতটা ভালোবাসে। নাগরিকত্ব দেওয়া হোক বা না হোক, তারা আমাদের অন্তরের নাগরিক হয়েই আছে।