সারসের সরস প্রেমের গল্প
২৪ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:০০
আড়চোখে ডেস্ক
এ গল্প সারসের সরস প্রেমের। শিশুকালেই এরা প্রেমে পড়ে। এরপর যখন প্রজননের বয়স আসে তখন্ও এক সাথে থাকে আর সন্তান-সন্ততির জন্ম দেয়।
সারসকুলের মধ্যে হুপিং সারসের এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। এদের দুই-তৃতীয়াংশের জুটিই গড়ে ওঠে বয়ঃপ্রাপ্তের আগে। এমনটাই প্রমাণ পেয়েছেন গবেষকরা।
এথেন্সের ইউনিভার্সিটি অব জর্জিয়ার একদল গবেষক উত্তর আমেরিকার এই বিরল প্রজাতির সারস পক্ষীকূলের একটি ঝাঁকের ওপর নজরদারি করছেন সেই ২০০১ সাল থেকে। ঝাঁকের প্রতিটি পাখির গায়ে বিশেষ ট্রান্সমিটার বসিয়ে ওগুলোর গতিবিধি নজরে রেখেছেন।
৫৮ জোড়া সারস-সারসীর মধ্যে ৬২ শতাংশকেই দেখা গেছে বয়ঃপ্রাপ্তের অন্তত এক বছর আগে সঙ্গী বেছে নিয়েছে। আর বাকি ২৬ শতাংশ সঙ্গী বাছাই করে ফেলেছে প্রজনন বয়সের দুই বছর আগেই।
পক্ষী ও প্রাণীকূলে প্রজনন মৌসুমে সঙ্গী পাওয়া একটা ঝামেলার ব্যাপার। হুপিং সারসেরা অনেকটা সেই ঝামেলামুক্তই বলা চলে, বলেন গবেষকরা।
ছোটবেলা থেকেই ওরা প্রেমে পড়ে থাকে। তখন সঙ্গীর সকল দেখভাল একে অপরে করতে পারে। এমনকি বিপদ আপদেও দেখা যায় ওরা পরস্পরের সহায়তায় এগিয়ে যায়, এমনটাই বলছিলেন গবেষণা দলের প্রধান ক্লেয়ার তিতেলবম।
তিনি বলেন, প্রজননের বয়সের এত আগে প্রেম গড়ে ওঠা ও তা চালিয়ে যাওয়া এবং পরে দীর্ঘ সময় জুটি বেঁধে জীবন যাপন পাখীদের মধ্যে বিরল।
হুপিং সারস অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিরল বিপন্ন প্রজাতি। এই পাখিদের বাঁচিয়ে রাখাও এখন সকলের দায়িত্ব, বলেন গবেষকরা।
১৩৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৭