টা টা শৈত্যপ্রবাহ, আবার দেখা হবে!
১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৯:৪৬
মাকসুদা আজীজ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর
আজ মাঘের ১৯ তারিখ। শৈত্যপ্রবাহ বলতে গেলে প্রায় চলেই গিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুখ বলেছেন, ঢাকাতে তো নাইই দেশের কোথাও আর শৈত্যপ্রবাহ নাই, শুধু যাওয়ার আগে উত্তরবঙ্গে একটু সময় নিচ্ছে আর কি!
এ বছরের মতো এটাই শেষ শৈত্যপ্রবাহ। এ চলে গেলে আগামী বছর পর্যন্ত অবশ্যই শৈত্যপ্রবাহ আর আসছে না। নিশ্চিন্তে ভারি গরম কাপড়গুলো বাক্সবন্দী করে তুলে রাখতে পারেন।
শৈত্যপ্রবাহ চলে গেলেও শীত কিন্তু এত দ্রুতই আমাদের ছাড়ছে না। শীত আছে, থাকবে আরও বেশ কিছুদিন। চৈত্র মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত শীত শীত অনুভূতি থেকেই যাবে।
আজ সকালে সূর্য উঠেছে ৬টা ৩৯ এ। যেহেতু কুয়াশা কম, আকাশে মেঘও প্রায় ০ শতাংশ। একটু বাড়তে কমতে পারে কিন্তু সেই কম কমই। এই সুযোগে সূর্য আজকে পূর্ণ শক্তি দিয়ে আমাদের তাতিয়ে তুলবে। তবে ভয়ের কিছু নাই। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ১৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূর্যের এই তাপে আরামই হবে।
আজকের দিনে শুধু দুটি বিষয়ই বৈরী আচরণ করবে। এক তো অতিবেগুনী রশ্মি। একে কিছু করা সম্ভব নয়। অতিবেগুনী রশ্মি সিল মারা ভিলেন, কোনোদিন শুধরানোর নয়। সানস্ক্রিন মাখতে হবে আর কি। দুই নম্বর ঝামেলা সৃষ্টিকারী হচ্ছে, বাতাস। যেহেতু তাপমাত্রা খুব একটা বাড়েনি। বাতাস যখন ১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় যাবে তখন বেশ কষ্ট হবে।
এত ঝামেলার মধ্যে আজ দুইটা বিরাট আনন্দের ঘটনা হচ্ছে, এক আজকে বৃহস্পতিবার, মানে কাল শুক্রবার। হুররে, কাল আমাদের ছুটি রে ভাই কাল আমাদের ছুটি! আর ছুটির দিনে আমরা কী করব? ছুটির দিনে আমরা যাবো বই মেলায়। জ্বি বিকালেই প্রধানমন্ত্রী অমর একুশে বইমেলা-১৪২৪ উদ্বোধন করবেন। এরপর আজ সন্ধ্যা থেকেই বইমেলা শুরু, খোলা থাকবে কাল সকাল থেকেই।
আরেকটা কথা না বললেই নয়, বছরের এই সময়টায় বাতাস প্রচণ্ড শুষ্ক থাকে। আজকেই যেমন আর্দ্রতা ৩৮ শতাংশে নেমে যেতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি হয় না, খুব শিগগিরি হবে এমন কোনো সম্ভাবনাও নেই। এই সুযোগে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ অনেক বেড়ে গিয়েছে। এই ধূলিকণার সঙ্গে লড়াই করারও কিছু নেই। শুধু আমাদের নাক মুখ ঢেকে থাকতে হবে। ধুলোর সাথে রোগ-জীবাণুও শরীরে ঢুকে যায়। অনেকেই ইতিমধ্যে চোখে, ফুসফুসের, ত্বকের রোগে ভোগা শুরু করেছেন।
নিজের যত্ন নিন। সারাদিন অনেক পানি খান। শীতের ফল আর সবজি খেয়ে দীর্ঘ এই রুক্ষতা মোকাবেলা করার শক্তি সঞ্চয় করে রাখুন।
শুভ সকাল!
আলোকচিত্রী- আব্দুল মোমিন
সারাবাংলা/এমএ