একি! কুয়াশা কেন?
২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৯:৪২
মাকসুদা আজীজ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর
সকাল সকাল কুয়াশা দেখে কেমন আজব লাগছে! এই কাল আবহাওয়া অধিদপ্তর বলল শৈত্য প্রবাহ নাকি চলে গিয়েছে, শৈত্য প্রবাহ নাকি আর আসবে না! আমরাও সরল বিশ্বাসে ভাবলাম এই বুঝি এলো ওম! ওমা কীসের ওম? এ তো রীতিমতো ঘন কুয়াশা!
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস ভাই অবশ্য জানাচ্ছেন, শৈত্য প্রবাহ আসলেই নেই, আর সত্যিই সেটি আর ফিরছে না। এটা শুধুই ঘন কুয়াশা, এতটুকু হতেই পারে। উনি এ আশ্বাস দিচ্ছেন যে এই কুয়াশা থাকবে না। বেলা ১০টা নাগাতই চলে যাবে। তবে কুয়াশার চেহারা দেখে এই কথায় বেশী ভরসা পাওয়া যাচ্ছে না। যাদের আজকে সকাল সকাল দূরে কোনো পাহাড় বা বনে বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল তাদের তো খুবই ঝামেলা হয়ে গেলো!
কিন্তু ভাই শৈত্যপ্রবাহ চলে গিয়েছে বলে মাঘ তো আর যায়নি। আজকে মাঘের ২০ তারিখ না? এখনই যদি সূর্য উঠে সব তাতিয়ে দেয় তাহলে গাছ, পাখি, ফল ফসল যাদের শরীরবৃত্তীয় কাজ সব আবহাওয়ার ইশারায় চলে তারাই বা বাঁচবে কীভাবে বলুন তো?
কুয়াশার কারণে একটু শীত শীত বোধ হচ্ছে বটে তবে তাপমাত্রা খুব কম নয়, সর্বনিম্ন ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বোচ্চ ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটা কি বেশি ঠাণ্ডা হলো নাকি? তবে বাতাস আছে, ঘণ্টায় ৭ কিলোমিটার বেগে নানান দিক থেকে এসে কাপিয়ে দিয়ে যাবে। কুয়াশার মধ্যে দিয়ে আসবে বলে খুব ঠাণ্ডা লাগবে। খোলা জায়গায় যারা যাবেন তাদের তো বটেই, রিক্সা, সিএনজি, মোটর বাইকের মতো বাহনে যারা চলাচল করবেন তারাও বিষয়টা মাথায় রেখে পোশাক পরবেন।
কুয়াশা থাকার কারণে কিন্তু দুইটা লাভ হয়ে গিয়েছে। এক তো সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির আজ দুই পয়সা দাম নেই। কুয়াশা দিয়ে আসতে আসতে তার খবর হয়ে যাবে। ওদিকে বাতাসের আর্দ্রতাও বেশি। ত্বক আজ বেশ ঝামেলা ছাড়াই সতেজ থাকবে।
ঘন কুয়াশার সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে চোখে দেখা যায় না। নদী পথ তো বটেই সাধারণ রাজপথে চলার সময়ও সাবধানতা অবলম্বন করুন। নাহয় একটু ধীরেই এগুলেন, অথবা আজকের দিনটা না হয় বাড়িতেই রইলেন। দৌড়ানোর জন্য রৌদ্রোজ্জ্বল দিন তো থাকছেই।
শুভ হোক আপনার সারাদিন। ফেব্রুয়ারি ঢাকার উৎসবের মাস। শুরু হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থ মেলা, চলছে কবিতা উৎসব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হাঁটলে প্রতি পদক্ষেপে পেয়ে যাবেন উৎযাপনের কোনো উপকরণ। উৎযাপনে, আনন্দে ভরে থাকুক আপনার দিনটি।
শুভ সকাল!
সারাবাংলা/এমএ
ছবি কৃতজ্ঞতা- জান্নাতুল ফেরদৌসি