যাক, শ্রাবণ তার মান রাখছে। একবারে আকাশ কালো করে, ঝড় সঙ্গে করে, মুষলধারে বৃষ্টি ভিজিয়ে দিচ্ছে রাজধানীকে।
সপ্তাহের শেষ কাজের এই দিনটিতে সকাল শুরুই হয়েছে ঝমঝমে বৃষ্টি দিয়ে। এরপর কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে আবারও তুমুল বৃষ্টি। গোটা শহর ভিজছে, রাস্তায় নেমে আচমকা ভিজছেন পথচারীরাও।
তবে গত কয়েকদিনের প্রচণ্ড গরমের পর এই তুমুল বৃষ্টি কারও বিরক্তির কারণ হচ্ছে বলে মনে হয় না। ঈদের ছুটির শুরুটা স্বস্তির হচ্ছে এতেই খুশি নগরবাসী।
বৃষ্টি কিন্তু এমনি এমনি হচ্ছে না। ভারতের উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে যে মৌসুমী নিম্নচাপটি ছিল সেটির কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশ উপকূলে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য রয়েছে। সৃষ্টি হচ্ছে গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা। এসবের কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে যাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদফতর কক্সবাজার ও দেশের তিন সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে চলাচলরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
অ্যাকুওয়েদার বলছে, রাজধানীতে সারাদিনই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসে আদ্রতা থাকলেও বৃষ্টির কারণে গরম কম লাগবে।
বৃষ্টির পর কারও বাসায় গাছের টব বা অন্য কোনো পাত্রে যেন পানি জমে থাকতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সামান্য অবহেলা যেন ডেঙ্গুর কারণ না হয় সেটা সবাইকেই মাথায় রাখতে হবে। দেশটা যেহেতু সবার, খেয়ালও সবাইকে মিলেই রাখতে হবে, তাই না?