Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সুইডেনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন


৮ মার্চ ২০২০ ১৭:৩৫

ঢাকা: যথাযোগ্য মর্যাদায় সুইডেনের বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালন করা হয়েছে। দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি সপরিবারে উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

সুইডেনের মিশন থেকে রোববার (৮ মার্চ) এক বার্তায় এই তথ্য জানান হয়। প্রথমে বিকেল ৫টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের জন্য এক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিপুল সংখ্যক শিশু কিশোর উক্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।

বিজ্ঞাপন

এরপর বিকেল ৬টায় দূতাবাস মিলনায়তনে পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ করার মাধ্যমে ২য় পর্বের অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। অতঃপর দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

মুক্ত আলোচনা পর্বে দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্যের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় বক্তাগণ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের পটভূমির পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই ভাষণের স্বীকৃতির তাৎপর্যের ওপর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চে যে ভাষণ দিয়েছিলেন তার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রেক্ষাপটকে বিবেচনা করে বাঙালি জাতির মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন। একটি রাজনৈতিক ভাষণ কীভাবে একটি জাতির মুক্তির দিশা দিতে পারে এবং একই সাথে সাংস্কৃতিক চেতনাকে সমৃদ্ধ করে নতুন পথের সন্ধান দিতে পারে- বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

এরপর সুইডেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম ঐতিহাসিক ৭ মার্চের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি তার বক্তব্যের শুরুতেই গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন। রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ অনন্য এক দিন। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের এই ভাষণ ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল এবং মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত বাঙালির জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছিল এই ভাষণ।

বিজ্ঞাপন

সবশেষে স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয় যেখানে দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত সকল শিল্পী ও কলাকুশলীদের শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন। পরিশেষে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হয়।

৭ই মার্চ বাংলাদেশের দূতাবাস সুইডেন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর