Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জিভ দেখে চিকিৎসকরা আসলে কী বোঝেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
১০ অক্টোবর ২০২২ ১৪:৩৬

জিভটা একবার দেখিতো! বলে চিকিৎসক যখন রোগীর জিভ দেখতে চান, তখন নিশ্চয়ই কিছু একটা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে আমরা আমাদের জিভ পরীক্ষা নিয়ে আসলে কতটা সচেতন? সে প্রশ্ন উঠতেই পারে।

চটজলদি জিভটা একবার আয়নায় দেখে নিতে পারেন তাতে নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে নিজেও কিছুটা ধারণা পেয়ে যাবেন।

সত্যি কথা বলতে কী, জিভের আকার, গড়ন, রঙ ও বিন্যাসই আপনাকে বলে দেবে আপনি কেমন আছেন।

চীনা বংশোদ্ভুত অস্ট্রেলীয় নারী চিকিৎসক ওয়াভেনি হল্যান্ড এ নিয়ে খুব গবেষণা ও পড়াশোনা করেছেন। অতঃপর তিনি বলেছেন, স্রেফ জিভ দেখে এমন কিছু অসুখের কথা জানা যায়, যা সম্পর্কে রোগীর সামান্য ধারনা পর্যন্ত ছিলো না।

তা হলে জেনে নেই- কী জানাচ্ছেন এই অস্ট্রেলীয় চীনা চিকিৎসক।

জিভের রঙ
একটা স্বাভাবিক স্বাস্থ্যবান জিহ্বা সাধারণত গোলাপী, হালকা লালচে হয়। যার ওপর একটা অতি হালকা সাদা আস্তরণ থাকে। সে জিহ্বাটি হবে না খুব বেশি মোটা কিংবা খুব পাতলাও।

মেয়েদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব হলে জিভটা কিছুটা বেগুনি বেগুনি লাগবে।

আর জিহ্বা ফ্যাকাশে হলে ধরেই নিতে হবে ভিটামিন ও মিনারেলের অভাব প্রকট। আর রোগী রক্তশূন্যতায় ভূগছেন।

জিহ্বার রঙ লালচে হলে তা শরীরের উত্তাপের সাথে সম্পৃক্ত। ধরে নিতে হবে জ্বর আসছে কিংবা এসে গেছে। নারীর মেনোপজের সাথেও জিহ্বা লাল থাকার একটা সংশ্লিষ্টতা আছে।

জিভের গড়ন
অনেক চিকিৎসক জিভের গড়ন দেখেই রোগীর রোগ সম্পর্কে ধারনা নেন। জিভটা যদি ফোলা ফোলা লাগে তাতে শরীরে পুষ্টিহীনতা বুঝায়। পাতলা জিভ হলে তা পানিশূণ্যতার কারণেই হয়।

জিভের আস্তর
জিভের ওপর পাতলা একটু সাদাটে আস্তরণ মানে শরীর ভালো ও স্বাভাবিক আছে। আর যদি কোনও আস্তরই চোখে না পড়ে, তাহলে পানিশূণ্যতা বোঝাবে। আস্তরটা যদি হলদেটে হয়, আর যদি জিভটা শুষ্ক শুষ্ক লাগে তাহলে গায়ে জ্বর আছে। আস্তরের হলদে ভাবটা যতটা প্রকট শরীরে জ্বর তত বেশি।

বিজ্ঞাপন

এ ধরনের জিভ দেখা গেলে তাতে ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত কিংবা শরীরের অন্য কোনও ভারসাম্যহীনতাও বোঝায়।

আর জিভের আস্তরটা যদি ধূসর কিংবা কালচে রঙের হয় তাতে বুঝতে হবে শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিকতা হারিয়েছে।

জিহ্বার বিন্যাস
এবার দেখে নেওয়া যাক জিভের বিন্যাস কখন ক্যামন হলে তাতে কী বুঝে নিতে হবে। যে জিভের ওপর অনেক ফাটল, চির রয়েছে কিংবা মসৃণ নয় সে ধরণের জিভ আপনার শরীরে নানা রোগের বাসা বলেই ধারণা দেয়। চির গুলো যদি বেশি গভীর হয়, আর তা যদি হয় ঠিক জিভের মাঝ বরাবর, ধরে নিতে হবে আপনার অন্ত্রে ও পরিপাকতন্ত্রে কোনও সমস্যা রয়েছে। কিডনিতে সমস্যা, আলসারের মতো রোগও হতে পারে।

অনেক সময় জিভ উচু-নিচুও মনে হয়। একে ‘ভৌগলিক জিহ্বা’ বলে। এ ধরণের জিভের ক্ষেত্রে রোগী পাকস্থলী এসিডিটি আক্রান্ত বলে ধারণা করা হয়। এছাড়াও ফুসফুসে জটিলতা থাকলেও এমনটা হয়।

জিভের পাশের দিকটা অমসৃন হলে তাতে মুখের লালা জমে যায়। যা অসস্তিকর! তবে এক্ষেত্রে আপনার যকৃত ও পিত্তথলীতে কোনও সমস্যা রয়েছে সেটাই নির্দেশ করে।

সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি

জিভ দেখে চিকিৎসকরা আসলে কী বোঝেন? লাইফস্টাইল সুস্থ থাকুন

বিজ্ঞাপন

মাদকের টাকার জন্য মা'কে খুন
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৭

আরো

সম্পর্কিত খবর