।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
‘বাঙালির জয়, বাঙালির কবিতা’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় কবিতা উৎসব পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘৩৩ তম জাতীয় কবিতা উৎসব ২০১৯’। বুধবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন জাতীয় কবিতা উৎসব পরিষদের সদস্যবৃন্দ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির হাকিম চত্বরে অনুষ্ঠেয় দুইদিন ব্যাপী এই কবিতা উৎসবটি প্রত্যেকদিন সকাল দশটায় শুরু হয়ে শেষ হবে রাত নয়টায়। কবিতাপাঠ পর্ব, ছড়াপাঠ, আবৃত্তিপর্ব, পুরষ্কার প্রদান পর্ব ও বিদেশি ভাষার কবিতার আসর দিয়ে এবারের কবিতা উৎসব আসরের আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : মুম্বাই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের নতুন চেয়ারম্যান দীপিকা
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কবিতা উৎসব পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ, সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত, আহ্বায়ক রবিউল হুসাইন, উপদেষ্টা নূর আলম নূরু এবং কাজী রোজী।
কবি মুহাম্মদ সামাদ ১ ফেব্রুয়ারিকে সরকারিভাবে ‘জাতীয় কবিতা দিবস’ ঘোষণার আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘আমরা কবিরা খুব স্বল্পে তুষ্ট থেকে আকাশ সমান স্পর্ধিত সাহসে ভর করে স্বৈরাচার, সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের কথা বলে এসেছি। সত্য উচ্চারণের মধ্য দিয়ে এই উৎসবকে আমরা কবিতার মিলনমেলায় পরিণত করেছি। তিন দশকের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন দেশ ও ভাষার সংগ্রামী কবিরা আমাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মানুষের মুক্তির কথা বলেছেন। এবারের কবিতা উৎসবেও এর ভিন্ন হবে না।’
নূরুল আলম নূরু বলেন, ‘জাতীয় সংকটের সময় কবিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতির প্রাণের কথা ও দাবী ধ্বনিত করেন। তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা অবশ্যই জরুরি।’
উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খল মুক্তির ডাক দিয়ে এই কবিতা উৎসবের সূচনা হয়, কালের পরিক্রমায় এখন এটি একটি আন্তর্জাতিক রূপ নিয়েছে।
সারাবাংলা/ওএম/পিএ