গুচ্ছ কবিতা
২২ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৩১
সময়
উৎসবে মাতোয়ারা মানুষ মায়াবী আলোয় ভাসে
আমিও রোজনামচার আধাঁরে বসে প্রতিদিনের দিনলিপি লিখি
আঁচলে তুলে নিই রাতের ক্ষয়িষ্ণু নিঃশ্বাস
খনন করে চলি সভ্যতার কত না ইতিহাস
মানুষের রাত-দিন খুনসুটি আশার বিলাস
আটপৌরে জীবনের মোলায়েম সুখ
পরিচিত হয়ে ওঠা জীবন মরণ
হাঁড়িতে ফোটে ভাত চৌকাঠের এপার-ওপার
আমিও সুর খুঁজতে চেয়েছি অনেকবার
আলোর প্রতিফলনে শুধু নেমে আসে মরুময় রাত
ঘর পরিচয় জীবন কেবল দু’একটা রাত দু’একটা দিন শুধু
আর কিছু…
পৃথিবীর সব সুখ আত্মস্থ এখন
মানুষের খনিজ লোভ ছুঁয়েও ফেলেছে চাঁদের শরীর
বিষন্ন কৃষ্ণকায় গভীরতা পৃথিবীর
ডিজিটাল প্রদর্শনীর আরও গভীরে অন্য এক আকাশ
অন্য এক অনাবাদি রূপান্তর
পৃথিবীর গহীন ভাষার সাথে ছুঁয়ে আছে
আরও এক মরমী সুর!
মুক্তির আলো
রাতের নীরবতায় মেঘ কি কেঁদেছিল
আকাশের বুকে মাথা রেখে
সেই শব্দেই তো রাতভর টুপটুপ
ভিজেছিল প্রকৃতির শরীর
অহল্যার পাষাণী বুক অন্ধকারের নিভৃতি পেরিয়ে
অনন্ত মুক্তির অপেক্ষায় গুনছিল প্রহর
সে আসবেই আসবে…
অনিবার্য সঙ্গমকথা ঈশ্বর-মানুষ
উড়ন্ত ঘুড়ির রহস্যময় আয়নায়
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দেখেছিল মধ্যরাত
রাজাহীন রাজ্যের তলদেশ
উপোষী নারীর রক্তহীন ঠোঁট এঁকে দিয়েছিল
প্রেমিক সরোবরের অজানা উপাখ্যান
আর হঠাৎ করেই নেমে এসেছিল অন্য এক
ধরিত্রি কন্যার দুরন্ত বিপ্লব
মায়া হরিণী
ওই সীমান্ত কাঁটাতার বহমান নদীকথা
রই একান্তে কান পেতে বুকে জমে দীর্ঘ ব্যথা
ক্ষয়ে যাওয়া মনের অন্তরাল পতিত জমি
বয়ে চলা স্রোতের বাঁকে জমেছে পলির ভূমি
সরে গেছে জল তৃষ্ণা জাগানিয়া মায়া হরিণী
ভরে মন আলো মরীচিকায় ক্ষণ সঞ্চারিণী
চিহ্ন রয়ে গেছে চলার ছন্দে ছন্দে পথে পথে
ভিন্ন সুরে শারদীয়া মেঘ সেজেছে শুভ্র রথে
শুধু কালের পরিক্রমা দিন মাস বছরের
ধূ ধূ প্রান্তর জীবনভূমি ক্লেদাক্ত অন্তরের
নদী বয়ে যাবে স্রোত কেবলই যুগান্তরের
যদি দেখা হয় সেতু নীড়ে প্রেমান্ধ বন্দরের
ভেদ যদি মুছে থাকে সময়ের অব্যক্ত আশা
ক্লেদ মুছে মরমে লেখা নতুন যুগের ভাষা।
সারাবাংলা/এসবিডিই