অশরীরি লাল পিঁপড়ে
২৪ এপ্রিল ২০২৩ ২১:১৬
প্রাচীন ইতিহাসের পর্দা দোলাতে দোলাতে পাথরের হাসিমুখ। মধ্যদুপুরে গাঢ় গহীন জংগলের নিশ্বাস। বঙ্গোপসাগর থেকে তাগুস নদীর নোনা জল মেখে জেগে ওঠা অশরীরি যোদ্ধা আমি।
হে সিন্দ্রা,
আমি ভাটিবাংলার আর্য দ্রাবিড়ের রেখাপাত ধরে বারোশত বছর হেটে তোমার কাছে এসেছি। তোনার পাথরের হৃদয়কে প্রশ্ন করে দেখ, মহাপাহাড়ের ঝড়ো বাতাসে এখনও বাজে আফ্রোবীরের ঘোড়ার খুরধবনি।
স্বর্ণকেশী আমার প্রেয়সীকে এই প্রাসাদেই রেখে গেছি আমি। মহাকালের সব মেঘ তাকে রেখেছে উষ্ণ আলিঙ্গনে। বাতাসের কানে কানে উড়ে গেছে শত বছরের প্রেমপত্র।
বেদুইন চোখে মোহর এঁকেছিলো সবুজ মখমল, ঘুঙুরের শব্দে প্রাণসঞ্চারী সিন্দ্রার জোৎস্নালো রাত। পাহাড়ি পাখিরাও জানে, ভালবাসা বেচে থাকে মহাকাশ।
রাজা দ্বিতীয় ফারদিনেন্দের প্রেমকাননে এখনও উড়ে বেড়ায় আমার প্রেয়সীর দ্রোহী আত্মা। আর আকাশের নীল ক্যানভাসে লেখে চিঠি।
হয়ত আন্দালুস থেকে শত বছর পর ফের উড়ে আসবে এক ঝাঁক শ্বেত পায়রা। প্রশান্তির বৃষ্টিতে জেগে উঠবে মুরের কংকাল। বরষার জলে ধুয়ে যাবে সিন্দ্রার সবুজাভ পাহাড়ি পাথর। ঘাসফুল থেকে শান্তির পতাকা হাতে মাঠপারচ করতে করতে বেরিয়ে আসবেলাল পিঁপড়েদল।
সারাবাংলা/এসবিডিই
অশরীরি লাল পিঁপড়ে ঈদুল ফিতর সংখ্যা ২০২৩ কবিতা শাকিল মাহমুদ শাকিল মাহমুদের কবিতা 'অশরীরি লাল পিঁপড়ে' সাহিত্য