Friday 27 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৭ জুন ২০২৫ ১১:৫৮ | আপডেট: ২৭ জুন ২০২৫ ১৩:৪৬

প্রতীকী ছবি

ঢাকা: রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় মাদরাসা ছাত্রীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতের বিভিন্ন সময় তাদের মৃত্যু হয়।

মৃতরা হলেন, দক্ষিণখানে মাদরাসা ছাত্রী জান্নাত (২০), বিমানবন্দরে সোহেল (২৫) ও কেরানীগঞ্জে লাল চান (৫৫)।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে দক্ষিণ খান এলাকার একটি মাদরাসার ছাদ থেকে পরে জান্নাত (২০) নামের ওই মাদরাসা ছাত্রী গুরুতর আহত হন। দেখতে পেয়ে শিক্ষকরা জান্নাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ওই মাদরাসার শিক্ষক মো. আদনান মাহমুদ জানান, জান্নাত দক্ষিণখান ভাই ভাই মার্কেটে অবস্থিত নূরানী ট্রেনিং সেন্টার মাদরাসার ছাত্রী ছিলেন। গাতরাতে কাজে মাদরাসার পাঁচতলার ছাদে গিয়ে ছিল। সেখান থেকে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। দেখতে পেয়ে তাকে প্রথমে উত্তরার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে জান্নাত কিভাবে ছাদ থেকে পড়ে গেছেন সে ব্যাপারে কিছুই জানাতে পারেননি ওই মাদরাসার শিক্ষকরা।

বিজ্ঞাপন

জান্নাতের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার পশ্চিম নামাপাড়া গ্রামে। বাবার নাম লোকমান হোসেন। বর্তমানে দক্ষিণ খান নূরানী মাদরাসায় থাকতেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিমানবন্দরে রেল স্টেশনের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় প্রথমে আহত হন সোহেল (২৫) নামের ওই যুবক। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক রাত ১২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোহেলের এক স্বজন মো. হাসান জানান, তাদের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার চর মসলন্দ গ্রামে। বর্তমানে বিমানবন্দর কাউলা এলাকায় থাকতেন। তার বাবার নাম মো. শহীদুল্লাহ। সোহেল একটি বেসরকারী কোম্পানিতে অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।

তিনি আরও জানান, গত রাতে কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন সোহেল। বিমানবন্দর রেলগেট দিয়ে রাস্তা পারাপারের সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া টঙ্গীগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে আহত অবস্থায় সোহেলকে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ হাসনাবাদ এলাকায় ট্রাক ধাক্কায় আহত হন লাল চান (৫৫) নামে ওই মোটরসাইকেল আরোহী। পরে স্বজনরা তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক রাত ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে মৃত লালচানের নাতি মো. শাকিল জানান, তাদের বাড়ি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পিলবাগই এলাকায় তাদের বাড়ি। তার নানা লালচান এলাকায় জমির ব্যবসা করতেন। গতরাতে তার আরেক নাতি তামিমকে (১৬) নিয়ে হাসনাবাদ এলকায় একটি কোচিংয়ে যান। কোচিং শেষে সেখান থেকে তামিমকে নিয়ে মোটরসাইকেল করে বাসায় ফেরার পথে হাসনাবাদ রিভারভিউ হাসপাতালের সামনে ট্রাক ধাক্কায় আহত হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে তামিম অক্ষত আছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে জানান, কেরানীগঞ্জ থেকে আসা লালচানের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া রাতেই হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া দক্ষিনখানে ছাদ থেকে পরে মৃত ছাত্রী ও বিমানবন্দরে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত দুজনের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

সারাবাংলা/এসএসআর/এমপি

মরদেহ সড়ক দুর্ঘটনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর