ঢাকা: ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর শাহবাগ থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাওয়ার পথে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পালটা ধাওয়া হয়েছে। এসময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। ছবি: সারাবাংলা
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, “আমার উপর হামলা করার কারণে পুলিশ সদস্যদের ক্ষমা চাইতে হবে। তাদেরকে প্রত্যাহার করা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
এদিন, তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ করেন তারা। শিক্ষার্থীদের স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে এলাকা। এসময় তারা ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম, সংগ্রাম’, ‘কোটা না মেধায়, মেধায় মেধায়’, ‘সবার মুখে এক বয়ান, ডিপ্লোমা টেকনিশিয়ান’, ‘অবৈধ ডিপ্লোমা কোটা অবসান চাই’, ‘কোটার নামে অবিচার, বন্ধ করো’, ‘কোটা প্রথা ভেঙে দাও, মেধাবিদের অধিকার ফিরিয়ে দাও’ স্লোগান দেন।

রাজধানীর শাহবাগ থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাওয়ার পথে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। ছবি: সারাবাংলা
প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি:
১. ইঞ্জিনিয়ারিং ৯ম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনও পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
২. টেকনিক্যাল ১০ম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ডিপ্লোমা ও বিএসসি ডিগ্রিধারী উভয়ের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
৩. ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডিটেড বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।