বগুড়া: কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশায় বগুড়ার কাহালুতে গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরির হিড়িক পড়েছে। গত এক সপ্তাহে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে বিভিন্ন গভীর নলকূপের প্রায় ১৫ থেকে ২০টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়েছে।
এদিকে মিটার চুরি যাওয়ায় এলাকায় চলতি মৌসুমে রবি শস্য আবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। জমিতে সেচ দিতে না পারায় উদ্বিগ্ন এসব গভীর নলকূপ মালিক ও কৃষকরা। মিটার চুরির প্রতিকার চেয়ে কাহালু সদর ইউনিয়নের জয়তুল গ্রামের গভীর নলকূপের মালিকসহ অর্ধশতাধিক কৃষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও কাহালু থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বৈদ্যুতিক মিটার চোরচক্র রাতের আঁধারে মিটার চুরি করে আসছে। চুরি করা মিটারগুলো চোরেরা নিরাপদ স্থানে রেখে দেয়। এরপর গভীর নলকূপ বসানো ঘরের দেয়ালে মোবাইলের বিকাশ নাম্বার লাগিয়ে রেখে এসে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করত। এর সাথে একাধিক চক্র জড়িত রয়েছে। স্থাপিত গভীর নলকূপ থেকে ১০০ থেকে ১৫০ ফিট দূরে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে মিটার লাগানো থাকায়, গভীর নলকূপে পাহারা বসিয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না এই মিটার চুরি।
এদিকে চোরচক্রের সদস্যদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা বিকাশ নম্বরে পরিশোধ হলেই চুরি যাওয়া মিটার তারা ফিরিয়ে দিচ্ছে। তবে মিটার চুরি রোধে গভীর নলকূপের ঘরে বৈদ্যুতিক মিটার স্থাপনের দাবি জানান ভুক্তভোগী নলকূপ মালিকেরা। চুরির বিষয়টি নিয়ে গভীর নলকূপের মালিকরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দিলেও প্রতিকার মিলছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মালিক জানান, চোরচক্রের হুমকিতে নিয়মিত চাঁদা পরিশোধ করার পরও তারা মিটার চুরি করে নিয়ে যায়। মিটার চুরি বন্ধে তিনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
তিনি আরও বলেন, মিটার চুরি করতে গিয়ে কোথাও কোথাও গ্রামবাসীর হাতে চোরচক্রের দু’ একজন সদস্য আটক হয়। তারা জেল হাজতে গেলেও পরে আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আবারও মিটার চুরির কাজে জড়িয়ে পড়ে। মিটার চোরচক্রের চাঁদা দাবির অত্যাচারে অতিষ্ঠ গভীর নলকূপ মালিকরা।
কাহালু পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম শাহাদৎ হোসেন জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।