চমেকে মারামারি: গ্রেফতার ২ ছাত্রের জামিন
২৮ নভেম্বর ২০২১ ১৮:৪৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) মারামারির ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দুই ছাত্র জামিন পেয়েছেন। রোববার (২৮ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়া দুই ছাত্র এনামুল হাসান সীমান্ত (২১) ও রক্তিম দে (২১) চমেকের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘জামিন আবেদনের সঙ্গে ২৬ ডিসেম্বর থেকে এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরুর রুটিন দাখিল করে আসামিপক্ষ। আদালত পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জামিন মঞ্জুর করেছেন।’
গত ২৯ অক্টোবর চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারি হয়। এতে অন্তঃত দু’জন আহত হয়। এ ঘটনার জেরে পরদিন চমেক ক্যাম্পাসে মাহাদি জে আকিব (২১) নামে এক ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। তাকে চমেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ব্যান্ডেজ মোড়ানো মাহাদির মাথায় ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’ লিখে নিচে একটি বিপদজনক চিহ্নও এঁকে দেওয়া হয়েছিল। এই ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনার জন্ম হয়। ২১ দিন চিকিৎসা শেষে গত ১৮ নভেম্বর বাড়ি ফিরে যান মাহাদি।
চমেক ক্যাম্পাসে বিবদমান ছাত্রলীগের দু’টি পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আহত মাহাদি উপমন্ত্রীর অনুসারী এবং হামলাকারীরা নাছিরের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
মাহাদিকে মারধরের ঘটনায় উপমন্ত্রীর অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী মো. তৌফিকুর রহমান বাদি হয়ে ১৬ জনের বিরুদ্ধে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর এনামুল হাসান সীমান্ত ও রক্তিম দে’কে পুলিশ গ্রেফতার করে। সীমান্ত মামলার এজাহারভুক্ত ১৫ নম্বর এবং রক্তিম ১১ নম্বর আসামি। উভয়েই সাবেক মেয়র নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এদিকে ৩০ অক্টোবর মারামারির পর চমেক অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রায় একমাস পর ২৭ নভেম্বর থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এর আগে একাডেমিক কাউন্সিলের সভা করে মারামারিতে জড়িত ৩১ ছাত্রকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়।
সারাবাংলা/আরডি/এসএসএ