ঢাকা: বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের সোনার বাজারেও অস্থিরতা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে সোনার ভরি ২ লাখ ৩০ হাজার টাকার কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড। তবে বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের সর্বশেষ দর সংশোধনে ভরিতে সোনার দাম কমেছে ৫ হাজার ২৪৯ টাকা। ফলে এখন ভালোমানের একভরি সোনা কিনতে লাগবে ২ লাখ ২৪ হাজার ১৮২ টাকা। তবে এদিন রুপার দাম সংশোধনের ঘোষণা দেয়নি বাজুস। ফলে রুপার ভরি ৬ হাজার ৬৫ টাকাই রয়েছে। যদিও এই দাম ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সোনার দর সংশোধনের এ ঘোষণা দেয় বাজুস। শুক্রবার (১ জানুয়ারি) থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে। বাজুসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির সভায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়।
বাজুসের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনা কিনতে লাগবে ২ লাখ ২৪ হাজার ১৮২ টাকা। এ ছাড়া, ২১ ক্যারেটের সোনার দাম ভরিপ্রতি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৩৪৪ টাকা। ১৮ ক্যারেটের প্রতিভরি পড়বে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৪১৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৫৭ টাকা।
তবে এদিন রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতিভরির দাম ৬ হাজার ৬৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ৫ হাজার ৭৭৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ৪ হাজার ৯৫৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ৩ হাজার ৭৩২ টাকাই রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সোনা ও রুপার বিক্রয় মূল্যের সঙ্গে অবশ্যই সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ করতে হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে সর্বশেষ গত ২৮ ডিসেম্বর সোনার দর সংশোধন করে সংস্থাটি। ওই সময়ও মূল্যবান এই ধাতুটির দাম বেড়েছিল। ওইদিন রুপার দাম অপরিবর্তিত থাকে।