ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী আবারও প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের তথ্য অনুযায়ী, সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌযানে হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। খবর আলজাজিরার।
সেনাবাহিনীর সাউদার্ন কমান্ড জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক পানিসীমায় একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের নিয়ন্ত্রিত নৌযানে ‘প্রাণঘাতী হামলা’ চালানো হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, নৌকায় মাদক ছিল এবং এটি পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের পরিচিত মাদকপাচার রুট ধরেই চলছিল। নিহতরা ‘নার্কো-টেরোরিস্ট’ হিসেবে চিহ্নিত।
গত কয়েক মাসে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযানে ৮০ জনের বেশি সন্দেহভাজন মাদককারবারিকে হত্যা করা হয়েছে। তবে ২ সেপ্টেম্বরের হামলার দ্বিতীয় পর্যায়ের তথ্য প্রকাশ হওয়ার পর কংগ্রেসে নতুন আলোচনা ও তদন্ত শুরু হয়েছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, দ্বিতীয় হামলার নির্দেশ দেননি প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। প্রথম হামলায় বেঁচে যাওয়া দুজনকে লক্ষ্য করে দ্বিতীয় হামলা নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল ফ্র্যাঙ্ক ‘মিচ’ ব্র্যাডলির নির্দেশে চালানো হয়েছিল। তবে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিরস্ত্র ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হলে তা যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার ব্র্যাডলি কংগ্রেসে বৈঠকে অংশ নেন। সিনেটর টম কটন বলেন, ‘ব্র্যাডলি কখনো কাউকে হত্যা করার নির্দেশ পাননি।’ কিন্তু হাউস আর্মড সার্ভিসেস কমিটির ডেমোক্র্যাট অ্যাডাম স্মিথ দাবি করেন, ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে প্রথম হামলায় বেঁচে যাওয়া দুজনকে দ্বিতীয় দফায় হত্যা করা হয়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলা উপকূলে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে। ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘খুব শিগগিরই’ স্থল হামলাও হতে পারে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এটিকে তার সরকার উৎখাতের প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।