‘চাবি, জুতা ফেলেই জান বাঁচাতে দৌড় দেই’
১৬ মার্চ ২০১৯ ০২:৪৪
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
ঢাকা: আল-নুর মসজিদে যখন হামলা হয়, তখন আফসানা আক্তার রিতু ছিলেন মসজিদের ভেতরেই। আফসানার বাড়ি বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে। এক বছর আগে তার বিয়ে হয় নিউজিল্যান্ড-প্রবাসী এক বাংলাদেশির সঙ্গে। ৯ মাস আগে তিনি দেশ ছেড়ে নিউজিল্যান্ডে যান। আল নুর মসজিদ থেকে তাদের বাসা মাত্র এক মিনিটের পথ।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আফসানা আক্তার রিতু সেই হামলার বিবরণ দিয়েছেন।
বাসার কাছেই যেহেতু মসজিদ, আফসানা তাই প্রতিদিন সেখানে নামাজ পড়তে যেতেন। ঘটনার সময় তারা তিনজন বাংলাদেশি নারী একসঙ্গে ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা মসজিদের ভেতরে ছিলাম। হঠাৎ করে একটা শব্দ পাই। আমরা শব্দ শুনে দৌড়াদৌড়ি করে বাইরে আসি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা গুলি করছিল, ওরা প্রথম নারীদের রুমে আসেনি, ওরা প্রথম গিয়েছিল পুরুষদের রুমে। আমরা তিনজন বাংলাদেশি এক সঙ্গে ছিলাম। তিনজনই একসঙ্গে দৌড় দেই।’
‘আমাদের বাসা একদম মসজিদের পাশে। বাসায় আসতে এক মিনিট লাগে। বাহিরে শব্দ শুনে আমরা দৌড়ে বাসার দিকে আসি। কিন্তু বাসার চাবি, জুতা এইগুলা মসজিদে রেখে আসছি। জান বাঁচানোর জন্য পালিয়ে আসি’ বলেন রিতু।
তবে একজনের পায়ে গুলি লাগে। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে অ্যাম্বুলেন্স করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হামলার প্রত্যক্ষদর্শী আফসানা জানান, হামলাকারী ব্যক্তিকে আমরা দেখিনি, ভয়ে পেছনেও তাকাইনি।
এই ঘটনার পর আফসানা এখন রীতিমত আতঙ্কে আছেন। অথচ নিউজিল্যান্ডে তার গত ৯ মাসের অভিজ্ঞতা ছিল একেবারই অন্য রকম।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে থাকতেই আমি জানতাম, নিউজিল্যান্ড বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর একটি। অনেক নিরাপদ। এ পর্যন্ত কোনদিন কোন সমস্যা হয়নি।’
কিন্তু শুক্রবারের এই ঘটনা তাকে ভীষণ আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছে।
সারাবাংলা/এমএইচ
আরও পড়ুন
বেঁচে গেছি, সবাই দোয়া করবেন: তামিম
হামলার ঘটনা ‘লাইভ’ করেছিল বন্দুকধারী
ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে গুলি, বেঁচে গেলেন তামিমরা
তৃতীয় টেস্ট বাতিল, বাংলাদেশ দলের নিরাপত্তা জোরদার
ক্রাইস্টচার্চ হামলায় নিহত ৪০, এক বন্দুকধারী অস্ট্রেলিয়ার
ক্রাইস্টচার্চ হামলায় এক বাংলাদেশি নারীর মৃত্যু: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউজিল্যান্ড মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা, অল্পে রক্ষা মুশফিক–তামিমের
লিনউডেও মসজিদে হামলা, বহু হতাহতের আশঙ্কা, সন্দেহভাজন আটক