ঢাকা: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল শুক্রবার থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে শুরু হচ্ছে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ে প্রায় ৯-১০ লাখ জনবলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ জন্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
এসএম আসাদুজ্জামান জানান, ২৯ আগস্ট থেকে আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে দুই ব্যাচে কোর ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। এরপর সেপ্টেম্বরের শুরুতে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। ধাপে ধাপে আগামী কয়েক মাস ধরে কেন্দ্রীয়ভাবে ও মাঠ পর্যায়ে এ কার্যক্রম চলবে।
প্রশিক্ষণে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), অন্যান্য আইন, নির্বাচন পরিচালনা বিধি, আচরণবিধি, নীতিমালাসহ ভোটের যাবতীয় দিকনির্দেশনা তুলে ধরা হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচনী আইন-বিধি সংস্কার শেষে ম্যানুয়ালও প্রস্তুত হচ্ছে। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং পরবর্তী সংশোধন হলে তা কর্মকর্তাদের নিজ দায়িত্বে রপ্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হবে।
নির্বাচন পরিচালনায় যাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে:
-
কোর ট্রেইনার: প্রায় ৮০ জন
-
টিওটি (প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ): ১,৫৩৪ জন
-
উপজেলা/থানা ভিত্তিক টিওটি: ২,১০০ জন
-
নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ: ২২৬ জন
-
ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটি ব্রিফিং-প্রশিক্ষণ: ৩০০ জন
-
নির্বাহী হাকিম (জুম অ্যাপ): ৮০০ জন
-
ওএনএসএস বিষয়ক প্রশিক্ষক: ৫৭৫ জন
-
ওএনএসএস তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী: ৫০০ জন
-
আইটি বিভাগের সহকারী প্রোগ্রামার: ৬৫০ জন
-
ওএনএসএস প্রশিক্ষণ: ১,৭০০ জন
-
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট: ১,১৮৮ জন
-
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট: ৬৬৩ জন (সম্ভাব্য)
-
রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট (আরএমএস): ৫৯৬ জন
-
রিটার্নিং অফিসার: ৭২ জন
-
সহকারী রিটার্নিং অফিসার: ৬০০ জন
-
আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা: ৭৫ জন
-
নির্বাচনী ব্যবস্থা অবহিতকরণ: ২৫০ জন
-
সাংবাদিক (কেন্দ্রীয় পর্যায়): ২৪০ জন
-
দেশি পর্যবেক্ষক: ১০০ জন
-
মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষক: ৬,৩৯০ জন
-
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা: ১০ লাখ ৮৯ হাজার
-
পোলিং এজেন্ট মাস্টার ট্রেইনার: ১০,৮৫০ জন
-
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্মকর্তা: ৫০ হাজার জন