ঢাকা: ঘোষণাপত্রে যথাযথ স্বাক্ষর না থাকলে পোস্টাল ব্যালটের ভোট বাতিল হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দিয়ে একটি পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (১৯ নভেম্বর) ইসির উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এই পরিপত্রে পোস্টাল ভোটিংয়ের পূর্ণাঙ্গ নিয়মাবলি তুলে ধরা হয়।
পরিপত্রে বলা হয়, রিটার্নিং অফিসার গণনার আগে খাম খুলে ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর আছে কিনা পরীক্ষা করবেন। স্বাক্ষর না থাকলে ব্যালট পেপারের খাম না খুলেই তা বাতিল হিসেবে সংরক্ষণ করতে হবে।
বিদেশে বসে পোস্টাল ভোট: নিবন্ধন থেকে ভোট পর্যন্ত নির্দেশনা
Postal Vote BD মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা পোস্টাল ব্যালটের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীর তথ্য যাচাই শেষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ সংশ্লিষ্ট ভোটারের বিদেশের ঠিকানায় ব্যালট পাঠাবে।
প্রতীক বরাদ্দের পর অ্যাপের মাধ্যমে প্রার্থী তালিকা দেখে ভোটাররা প্রাপ্ত ব্যালটে ভোট দেবেন। এরপর ব্যালটটি নির্ধারিত ফিরতি খামে রিটার্নিং অফিসারের কাছে ডাকযোগে পাঠাতে হবে। এই খামে ডাকমাশুল সরকারের পক্ষ থেকেই পরিশোধিত থাকবে।
অ্যাপের মাধ্যমে ব্যালট প্রেরণ থেকে গ্রহণ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
নিবন্ধন পদ্ধতি
-
ভোট দিতে যে দেশ থেকে আবেদন করবেন, সেই দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।
-
Google Play Store বা App Store থেকে ‘Postal Vote BD’ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।
-
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে নির্দেশনা অনুসারে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
-
OTP, Liveliness ও NID যাচাইয়ের মাধ্যমে নিবন্ধন নিশ্চিত হবে।
-
বিদেশের ঠিকানা যথাযথ ও প্রমাণযোগ্য হতে হবে।
ভোট প্রদানের নিয়ম
-
ব্যালটে প্রতিটি প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে (✓) বা (×) চিহ্ন দিতে হবে।
-
ঘোষণাপত্রে ব্যালট পেপারের ক্রমিক নম্বর, ভোটারের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর লিখে স্বাক্ষর করতে হবে।
-
নিরক্ষর বা অক্ষম ভোটার বৈধ একজন ভোটারের সহায়তায় সত্যয়নপত্র পূরণ করতে পারবেন।
-
ঘোষণাপত্র ছাড়া কোনো ব্যালট গ্রহণযোগ্য হবে না।
-
ব্যালট পেপার ছোট খামে রেখে বন্ধ করে, এরপর ঘোষণাপত্রসহ বড় খামে ঢুকিয়ে ডাকযোগে পাঠাতে হবে।
ব্যালট গ্রহণ ও সংরক্ষণ
রিটার্নিং অফিসার ডাকযোগে প্রাপ্ত খামগুলোর QR কোড স্ক্যান করে রেকর্ড রাখবেন।
-
স্বাক্ষরবিহীন ঘোষণাপত্রযুক্ত খাম বাতিল হিসেবে সংরক্ষণ করবেন।
-
বৈধ ঘোষণাপত্রসহ খামগুলো আলাদা বাক্সে গণনার জন্য রাখবেন।
পোস্টাল ব্যালট গণনা
-
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৃথক গণনা কক্ষ থাকবে।
-
গণনায় প্রার্থী, এজেন্ট, গণমাধ্যমকর্মী ও পর্যবেক্ষক উপস্থিত থাকতে পারবেন।
-
বৈধ ভোট প্রার্থীভিত্তিক আলাদা করে গণনা করা হবে।
-
চিহ্ন অস্পষ্ট হলে ব্যালটটি বাতিল হবে।
-
গণনা শেষে সাধারণ কেন্দ্রের মতোই ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
-
পোস্টাল ব্যালটের ভোটের হিসাব একীভূত না করলে কোনো অবস্থাতেই চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা যাবে না।