ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, দেশের স্বার্থে যেমন ভালো নির্বাচনের বিকল্প নেই, তেমনি স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য গণমাধ্যমেরও কোনো বিকল্প নেই।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংবাদিকদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘‘বিগত দেড় দশকে নির্বাচনি ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর উত্তরণে সবার দায়িত্ব রয়েছে। এ নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক পথচলায় ‘টোন সেটিং’ ভূমিকা রাখবে।’’
মক ভোটিংয়ের পরিসংখ্যান তুলে ধরে সানাউল্লাহ জানান, এবার ব্যালটের কারণে সময় ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ হবে। গড়ে একজন ভোটার বুথে প্রবেশের পর ভোট দিতে ৩ মিনিট ৫২ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন। কেউ প্রশ্ন না পড়ে ভোট দিলে ২ মিনিটে শেষ করেছেন, আবার কেউ ৭–৮ মিনিট সময় নিয়েছেন। এসব বিবেচনায় ভোটগ্রহণের সময় বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে, যা ৭ ডিসেম্বর কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হতে পারে।
গণমাধ্যমের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ভুয়া সাংবাদিকদের প্রবেশ ঠেকাতে কিউআর কোডযুক্ত আইডি ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
একই অনুষ্ঠানে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, নির্বাচন কমিশন এখন ‘নির্বাচনের জোয়ারে’ ভাসছে। সরকার ও কমিশন উভয়ই শতাব্দীর ভালো নির্বাচন চায়।
গণভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চারটি প্রশ্ন নিয়ে বিভিন্ন মত থাকলেও সার্বিক প্যাকেজ বিবেচনায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।’