ঢাকা: রুশ জনগণের গণ-কূটনীতির ১০০ বছর পূর্তি ও বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকার রাশিয়ান হাউস এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক কনসার্টের আয়োজন করেছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ‘রবীন্দ্র সরোবর’ আমফিথিয়েটারে অনুষ্ঠিত এই আয়োজন উপভোগ করতে ১৩ হাজারেরও বেশি দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকাস্থ রাশিয়ান দূতাবাস প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে পরিবেশনা করেন দেশের বিভিন্ন শীর্ষ সাংস্কৃতিক সংগঠন—বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পী, জনপ্রিয় ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাস এবং সংগীতশিল্পী দল আকাশ অ্যান্ড কো.। তারা রুশ ও বাংলা সংগীতের ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক পরিবেশনার সমন্বয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন।
শুক্রবার সন্ধ্যার এই উৎসব দুই দেশের আন্তরিক বন্ধুত্ব ও কৌশলগত সম্পর্ককে আরও একবার সামনে নিয়ে আসে। বিশেষ করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের দৃঢ় সহায়তা—জাতিসংঘে ভেটো প্রয়োগ থেকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে কূটনৈতিক ভূমিকা—অনুষ্ঠানে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে সোভিয়েত ও রাশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা ৬ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি পেশাজীবী দেশের অর্থনীতি, জ্বালানি, বিজ্ঞান ও প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। এছাড়া বাংলাদেশে বসবাসরত রুশ নাগরিকরা তরুণ প্রজন্মকে রাশিয়ার শিক্ষা, সংস্কৃতি ও প্রযুক্তির সম্ভাবনা সম্পর্কে পরিচিত করে পরামর্শদাতার ভূমিকা পালন করছেন।
অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী তরুণ বীরদের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়—যাদের আত্মত্যাগে স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে।
উপস্থিত বক্তারা দুই দেশের সমসাময়িক কৌশলগত অংশীদারত্বের এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে রোসাটম স্টেট করপোরেশনের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেন। ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই কেন্দ্র বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিকে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহে বড় ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি প্রকল্পটির সঙ্গে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও জনশক্তি উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও যুক্ত রয়েছে।