ঢাকা: সিআইডি প্রধান মো. ছিবগাত উল্লাহ বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের মধ্যে যারা রায়েরবাজার গণকবরের মাটিতে আছেন, তাদের পরিচয় শনাক্তের মাধ্যমে জাতি একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়ভার থেকে মুক্তি পাবে। ‘আমরা চাই সেই সব নাম না জানা শহিদদের পরিচয় শনাক্ত করতে, যাতে তাদের আত্মীয়স্বজন দীর্ঘ অপেক্ষার পর স্বজনদের চিহ্নিত করতে পারেন।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলনের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
ছিবগাত উল্লাহ বলেন, এই কাজ সম্পন্ন করতে ঠিক কত সময় লাগবে তা জানা নেই। তবে আন্তর্জাতিক প্রোটোকল, অর্থাৎ মিনেসোটা প্রোটোকল অনুযায়ী, প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করে কাজ করা হবে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুয়িস ফনডিব্রাইডার, যিনি গত ৪০ বছরে প্রায় ৬০টি দেশে এই কাজ করেছেন।
তিনি আরও জানান, নিউজিল্যান্ড থেকে আগত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা সিআইডি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। প্রশিক্ষণে ফরেনসিক, চিকিৎসক, সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেছেন।
ছিবগাত উল্লাহ সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল প্রোটোকল অনুযায়ী মরদেহের ছবি প্রকাশ করা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘মরদেহ উত্তোলন, পোস্টমর্টেম, ডিএনএ সংগ্রহ এবং প্রোফাইলিং সবকিছু ধর্মীয় ভাবগামর্য বজায় রেখে করা হবে। পরিবার চাইলে কবর স্থানান্তর করারও ব্যবস্থা থাকবে।’
উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ১১৪ জনের পরিচয় শনাক্তের জন্য রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলনের কাজ আজ থেকে শুরু হয়েছে। লাশ উত্তোলনের পর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
গত ৪ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলনের অনুমোদন দেন। পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদনটি করেছিলেন মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক মাহিদুল ইসলাম।