ঢাকা: বিশ্বকাপ ক্রিকেট বাংলাদেশ দলের পারফরমেন্স প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি আমার দলের সবগুলো খেলা দেখেছি। চীনে বসেও আমি কিন্তু খেলাগুলো দেখেছি। আমার ছেলেরা খেলাধূলায় উন্নতি করেছে। নামিদামি দলের সঙ্গে খেলা এটি কিন্তু কম কথা নয়। আমি আমার ছেলেদের কখনও কোনো দোষ দিই না। আমার ছেলেদের কেউ খারাপ বলতে পারবেন না।’
চীন সফর বিষয়ে সোমবার (৮ জুলাই) গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খেলাধূলায় এতদূর যে এসেছি সেটিও বড় কথা। আমি কাউকে দোষ দেব না। খেলা এমন একটা জিনিস, ভাগ্যও কিন্তু লাগে। আমরা নিজেদের ছোট করি কেন? বরং বলেন জাঁদরেল দল যারা দীর্ঘদিন ধরে খেলেছে, তাদের বিরুদ্ধে এটিই কম কোথায়? আমাদের ছেলের ধন্যবাদ দেব।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা প্রথম যখন ক্ষমতায় ছিলাম ওবায়দুল কাদের ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলেন। ছোটবেলা থেকে খেলায় অভ্যস্ত করে তোলা, খেলোয়াড় তৈরির নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দোষ দেওয়ার কিছু নাই। ভালো ভালো দেশও তো পারেনি তাদেরও দোষ দেন। আমি আমার ছেলেদের কখনো দোষ দেই না। নিরুৎসাহিত করি না। বরং ফোন করে বলি তোমরা ভালো খেলেছো।’
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের আমন্ত্রণে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে গত ১ জুলাই বেইজিং যান প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে গত শনিবার (৬ জুলাই) তিনি দেশে ফেরেন।
চীন প্রথম সফরে শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডালিয়ানে সামার ডাভোস নামে পরিচিত ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের গ্রীষ্মকালীন সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং বৈঠক করেন ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লাউস সোয়াবের সঙ্গে। এরপর ডালিয়ান থেকে বেইজিং পৌঁছান তিনি।
বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব পিপলে পৌঁছলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা, গার্ড অব অনার ও তোপধ্বনির মাধ্যমে উঞ্চ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা ও একটি লেটার অব এক্সচেঞ্জে সই করে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে দেওয়া চীনের প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজে অংশ নেন তিনি। এরপর বিকেলে চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে একটি গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার ( ৫ জুলাই) দুপুরের পর চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিষয় সম্পর্কিত মিনিস্টার সান তাওয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিয়েন আন মেন স্কয়ারে চীনের জাতীয় বীরদের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের চেয়ারম্যান লি ঝাংসুর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেলে বেইজিংয়ের দিয়ায়োতাই স্টেট গেস্ট হাইজে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং শি চিনপিংয়ের দেয়া নৈশভোজেও অংশ নেন তিনি।
গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনআর/এটি/একে
আরও পড়ুন